রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ঝটিকা মিছিলে অংশগ্রহণকারী নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের আরও ১১ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) এই তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগে উপ-কমিশনার তালেবুর রহমান।
গ্রেফতার আসামিরা হলেন— বংশাল থানা ৩৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী যুবলীগের সহ-সভাপতি আসাদুল্লাহ শিপলু (৪৫), ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাকিল আহমেদ (৫৬), ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য মো. হাবিবুর রহমান হাবিব (৪৫), ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক আসলাম চৌধুরী ইমন (২৪), যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগ নেতা ও অর্থ সরবরাহকারী মোবাশ্বের রহমান (৫৫), ঝালকাঠি জেলার নলছিটি থানার কুশঙ্গল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রুহুল আমীন (৫৪), সাবেক মেয়র ও কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. কামাল হোসেন শেখ (৬২), উত্তরা পশ্চিম থানা শ্রমিক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল (৫৫), বাংলাদেশ স্থল বন্দর শ্রমিক লীগের সম্পাদক ও সুনামগঞ্জ জেলার তাহেরপুর থানার বালিজুড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আজাদ হোসেন (৫২), শেরেবাংলা নগর থানার ৯৯ নং ওয়ার্ড যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক মো. রেজাউল করিম (রানা) ও মিরপুর থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজালাল (৪৫)।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাত ৯ টার দিকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে মোবাশ্বের রহমানকে, সাড়ে বারোটার দিকে ভাষানটেক এলাকা থেকে কামাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া বংশাল এলাকা থেকে আসাদুল্লাহ শিপলুকে এবং মতিঝিল এলাকা থেকে শাকিল আহমেদ নামেরও আরও দুজন গ্রেপ্তার হন।
একইদিন রাত ১টার দিকে শান্তিনগর এলাকা থেকে আজাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিবি সূত্রে আরও জানা যায়, রাত ১২ টার দিকে উত্তরা-১৪ নং সেক্টর হতে বাবুলকে এবং রাত ২ টার দিকে মোহাম্মদপুর থানাধীন চন্দ্রিমা মডেল টাউন এলাকা থেকে শাহজালালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চানখারপুল গণহত্যা: সাবেক ডিএমপি কমিশনারসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন
অন্যদিকে একই দিন রাত পৌনে ২ টার দিকে শেওড়াপাড়া এলাকা থেকে রেজাউল করিমকে গ্রেফতার করে ডিবি-মিরপুর বিভাগের একটি টিম।
বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে রুহুল আমীনকে লালবাগ এলাকা থেকে ও রাত সাড়ে এগারোটার দিকে হাবিবুর রহমান হাবিবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একই সময় বাড্ডা এলাকা আসলাম চৌধুরী ইমনকে গ্রেফতার হয়েছেন।
তালেবুর রহমান বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা রাজধানীর বিভিন্ন থানায় রুজুকৃত মামলার এজাহারনামায় থাকা আসামি। তারা দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। তারা নানাভাবে সংঘবদ্ধ হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিলে অংশগ্রহণের মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।’
গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।