আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর রানির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার নিরাপত্তা জোরদার করতে সাত মিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি ব্যয় করা হবে। বিশ্বের তাবড় তাবড় নেতারা উপস্থিত থাকবেন এই অনুষ্ঠানে। আর তাই তাদের নিরাপত্তায় কোনো ত্রুটি রাখছে না যুক্তরাজ্য।
সোমবারের এই অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় ব্রিটিশ এমআই ৫ ও এমআই ৬ গোয়েন্দা সংস্থা, লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশ ও সিক্রেট সার্ভিস একসঙ্গে কাজ করবে।
ভারতীয় গণমাধ্যম এএনআই নিউজ রাজপরিবারের সাবেক নিরাপত্তা কর্মকর্তা সাইমন মরগানকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, ‘এটি যুক্তরাজ্যের পুলিশের জন্য সর্বকালের সবচেয়ে বড় পুলিশি অপারেশন।
সাইমন মরগান বর্তমানে বেসরকারি আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সংস্থা ট্রোজান কনসালটেন্সি’র তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বলেন, ‘এর আগেও কয়েকটি বড় অনুষ্ঠানে আমরা দায়িত্ব পালন করেছি। যেমন ২০১১ সালে প্রিন্স অব ওয়েলস প্রিন্স উইলিয়াম ও কেট মিডেলটনের বিয়েটাও বড় ঘটনা ছিল, কিন্তু তার সঙ্গে আপনি এটার তুলনা করতে পারবেন না।’
ওই বিয়েতে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল।
এএনআইয়ের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিউ ইয়র্ক পোস্টের মতে ২০১১ সালের বিয়ের জন্য পুলিশের খরচ ছিল আনুমানিক ৭ দশমিক ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
মরগান জানান, অন্তেষ্ট্যিক্রিয়ার দিন লন্ডনকে কঠোর নিরাপত্তার চাদরে ছেয়ে ফেলা হবে। বাড়ির ছাদ ও দর্শণার্থীদের জন্য নির্ধারিত পয়েন্টগুলো থেকে শুরু করে ভিড়ের মধ্যেও পুলিশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকবেন। কারণ পুলিশ ও গোয়েন্দা কর্মকর্তারা ‘সন্ত্রাসবাদের’ আশঙ্কা করছেন।
এএনআই জানায়, লন্ডনের স্থানীয় কিছু অনলাইন পোর্টালের তথ্যমতে, শহরের কিছু অংশ ইতোমধ্যে ঘিরে ফেলা হয়েছে এবং সম্ভবত অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আগে আরও রাস্তা বন্ধ হয়ে যাবে।
মরগান আরও বলেন, সাত লাখ ৫০ হাজার মানুষ অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নেবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা উইলিয়াম ও কেটের বিয়ের চেয়েও অনেক বেশি।
অন্যদিকে, প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মার্কেলকেও রাজকীয় সুরক্ষা দেয়া হচ্ছে। তবে তারা তাদের রাজকীয় দায়িত্ব ছেড়ে দেয়ার সময়, রাজকীয় নিরাপত্তার অধিকার হারিয়েছিলেন।
বেশিরভাগ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সম্ভবত অন্তেষ্ট্যিক্রিয়ায় একসঙ্গে বাসে করে যাবেন। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের মতো কেউ কেউ তাদের নিজস্ব পরিবহনে করেই সেখানে উপস্থিত হবেন।
আরও পড়ুন: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যারা থাকছেন