ব্রিটেনের প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ দেশ স্বাধীন হওয়ার ১২ বছর পর ১৯৮৩ সালের ১৪ নভেম্বর প্রথমবার বাংলাদেশ সফরে আসেন।
ইউপিআইয়ের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, দেশটির তৎকালীন সামরিক সরকারের রাষ্ট্রপতি লেফটেন্যান্ট জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বে অল্প সংখ্যক ব্যক্তির উপস্থিতিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে স্বামী প্রিন্স ফিলিপের সঙ্গে রানি সে রাতে নিজস্ব বিমানে করে বংলাদেশে আসেন।
ধূসর নীল রঙের স্যুট পরিহিত রানি ও তার স্বামীকে মোটর শোভাযাত্রায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। যেখানে তারা শেষবার ১৯৬১ সালে এসেছিলেন। তখন বাংলাদেশের নাম ছিল পূর্ব পাকিস্তান।
রাজকীয় এই দম্পতি কমনওয়েলথ সম্মেলন উদ্বোধন করার উদ্দেশ্যে ভারতের নয়াদিল্লি যাওয়ার আগে বাংলাদেশে ১৪ থেকে ১৭ নভেম্বর অবস্থান করেন।
বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে তখন বিশ্বের তৃতীয় দরিদ্রতম দেশ বলে অভিহিত করা সত্ত্বেও বাংলাদেশের তৎকালীন সামরিক সরকার ঢাকায় রানির সফরের জন্য দুই মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছিল।
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের রঙিন পোস্টার, ‘বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের বন্ধুত্ব দীর্ঘজীবী হোক’- লেখা ব্যানার এবং ইউনিয়ন জ্যাক পতাকায় বিমানবন্দর থেকে ১৮ মাইল পথ সারিবদ্ধভাবে সাজানো হয়েছিল।
আরও পড়ুন: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাক্রম
রানির বাংলাদেশ সফরের উল্লেখযোগ্য দিকগুলোর মধ্যে একটি ছিল জাতীয় স্মৃতিসৌধ পরিদর্শন। যেখানে তিনি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সম্মানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছিলেন।
রাজধানী ঢাকা থেকে ৩৫ মাইল দক্ষিণে একটি ‘মডেল ভিলেজ’ পরিদর্শনের জন্য রানি ট্রেনে ভ্রমণ করেছিলেন এবং সেখানে দেখেছিলেন কীভাবে চাল থেকে মুড়ি তৈরি হয়, পাশাপাশি হস্তশিল্প, লেপ ও মৃৎপাত্র তৈরির প্রক্রিয়াও দেখেছিলেন।
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ও প্রিন্স ফিলিপ ঢাকার ‘সেভ দ্য চিলড্রেন’ সেন্টার পরিদর্শন করেন এবং সেখানে সুবিধাভোগীদের সঙ্গে দেখা করেন।