রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) বিদায়ী উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান মেয়াদের শেষ দিনের আগের রাতে ৫ মে অ্যাডহক ভিত্তিতে দেয়া ১৩৮ জন শিক্ষক ও কর্মচারীর নিয়োগ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: রাবিতে ছাত্রলীগ শিক্ষক ধাক্কাধাক্কি, সিন্ডিকেট সভা স্থগিত
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। তিনি জানান, নিয়োগ স্থগিতের পাশাপাশি আদালত রুল জারি করেছেন। সাবেক এই ভিসির বিরুদ্ধে দুর্নীতির কারণে ব্যবস্থা না নেয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রিটের বিবাদী মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব, ইউজিসির চেয়ারম্যান, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, রাবির ভিসি ও রেজিস্ট্রার এবং অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানকে এ রুলের জবাব দিতে বলেছেন। একই সাথে বিশ্ববিদ্যালয়টির ২০১৭ সালের শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা স্থগিত ও দুদককে ভিসির বিষয়ে তদন্ত করে ১৪ নভেম্বর আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন।
গত ৩১ আগস্ট কনজুম্যার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) পক্ষে আহ্বায়ক স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন রিট আবেদনটি দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: রাবির নতুন উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে গত ৬ মে ছিল অধ্যাপক আবদুস সোবহানের শেষ কর্মদিবস। কিন্তু শেষ দিনে তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী পদে ১৩৮ জনকে ‘অ্যাডহক’ (অস্থায়ী) ভিত্তিতে নিয়োগ দেন। তা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তেজনার মধ্যে পুলিশ পাহারায় উপাচার্য ভবন ছাড়তে হয়েছিল অধ্যাপক সোবহানকে। এ নিয়োগকে কেন্দ্র করে সেদিন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংঘর্ষ হয়।
আরও পড়ুন: রাবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমপি শিমুলের মামলা
একই দিনে ওই নিয়োগের কার্যকারিতা স্থগিত রেখে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক মো. আলমগীরকে কমিটির প্রধান করা হয়। এ তদন্ত কমিটি গত ২৩ মে কমিটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়; যেখানে ১৩৮ জনের নিয়োগকে সম্পূর্ণ অবৈধ উল্লেখ করে তা বাতিলের সুপারিশ করা হয়। সেই সঙ্গে সোবহানসহ দোষী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনা এবং তার বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞার সুপারিশ করে ওই তদন্ত কমিটি।