দুদকের আবেদনে পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির বেঞ্চ রবিবার আসিফের জামিন আগামী ৮ নভেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করে। এ সময়ের মধ্যে হাইকোর্টের জামিন আদেশের বিরুদ্ধে নিয়মিত লিভ টু আপিল করতে বলেছে আপিল বিভাগ।
আসিফের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী ফিদা এম কামাল। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
গত ২১ অক্টোবর বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ জামিন দেয়। এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে দুদক।
গত ২৯ অক্টোবর প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আবেদনের ওপর শুনানি শেষে আদেশের জন্য আজ দিন ধার্য করেছিল।
গত বছরের ১২ ডিসেম্বর পাবনায় দুদক মামলা দায়ের করে। তারপর থেকে কারাগারেই আছেন আসিফ হোসেন। তার বিরুদ্ধে হওয়া দুটি মামলার মধ্যে ২১ অক্টোবর যে মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পান তাতে ৭ কোটি ৪৮ লাখ ১৬ হাজার টাকার দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রকল্পের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের থাকার জন্য গ্রিন সিটি আবাসন পল্লীতে ২০তলা ১১টি ও ১৬তলা ৮টি ভবন হচ্ছে। এসব ভবনের জন্য কেনা একটি বালিশের দাম ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৯৫৭ টাকা এবং তা ভবনে তুলতে খরচ ধরা হয়েছে ৭৩০ টাকা। পরে এ ঘটনা বালিশকাণ্ড নামে পরিচিতি পায়।