রবিবার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভা কক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মো. মুশফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে দেশের বরেণ্য উলামায়ে কেরাম এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নূরুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন।
উক্ত সভায় পবিত্র রমযান মাসে কোভিড-১৯ এর চলমান টিকা কার্যক্রম বিষয়ে আলোচনা করা হয় এবং দেশের জনগণের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা ও জীবন রক্ষার স্বার্থে করোনার টিকা গ্রহণের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করা হয়।
আলোচনায় উপস্থিত আলেম সমাজ সর্বসম্মতভাবে একমত পোষণ করেন যে, যেহেতু করোনাভাইরাসের টিকা মাংসপেশিতে গ্রহণ করা হয় এবং তা সরাসরি খাদ্যনালী ও পাকস্থলিতে প্রবেশ করে না, সেহেতু রমযান মাসে রোযাদার ব্যক্তি দিনের বেলায় শরীরে করোনাভাইরাসের টিকা গ্রহণ করলে রোযা ভঙ্গ হবে না।
উল্লেখ্য যে, এ মর্মে মুসলিম বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় আলেমরাও একইরূপ মত পোষণ করেছেন। কাজেই রোযা রেখে করোনাভাইরাসের টিকা গ্রহণ করা যাবে।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনা আক্রান্ত ১২০ মিলিয়নের কাছাকাছি
বাংলাদেশ করোনা পরিস্থিতি
দেশে ২৪ ঘণ্টায় প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে মৃত্যু ও শনাক্ত আরও বেড়েছে বলে রবিবার জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে আট হাজার ৫৪৫ জনে দাঁড়িয়েছে।
এছাড়া, গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ১৫৯ জনের শরীরে নতুন করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ৫৭ হাজার ৩৯৫ জনে পৌঁছেছে।
এর আগে শনিবার অধিদপ্তর জানায়, আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে ১২ জনের মৃত্যু এবং ১ হাজার ১৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ২১৯টি পরীক্ষাগারে ১৬ হাজার ৫২৮টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। অ্যান্টিজেন টেস্টসহ পরীক্ষা করা হয় ১৬ হাজার ২০৬টি নমুনা।
গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৭.১৫ শতাংশ। এর আগে শনিবার ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ছিল ৬.২৬ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৩ শতাংশ।
এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ১ হাজার ৩৮৫ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ১১ হাজার ৬৯৫ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯১ দশমকি ৮০ শতাংশ।
গত বছরের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন: কোভিড ভ্যাকসিনের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য জরুরি পদক্ষেপ দরকার: ডব্লিউএইচও