তার মতে, এ সংকটের একমাত্র সমাধান হলো বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের রাখাইন রাজ্যে নিজ গৃহে নিরাপত্তা, সুরক্ষা ও মর্যাদার সাথে স্বেচ্ছায় ফিরে যাওয়া।
আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের (ন্যাম) ১৮তম সম্মেলনের প্লেনারি সেশনে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা বর্তমানে ১১ লাখের অধিক রোহিঙ্গাকে আশ্রয়ে রেখেছি। আমাদের দেশ ও আশপাশকে অস্থিতিশীল করে তোলার সম্ভাবনা রয়েছে এর। এ সংকট সমাধানে আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তা চাইতে বাধ্য হয়েছি। রোহিঙ্গাদের রাখাইন রাজ্যে নিজ গৃহে নিরাপত্তা, সুরক্ষা ও মর্যাদার সাথে স্বেচ্ছায় ফিরে যাওয়া হলো এ সংকটের একমাত্র সমাধান।’
‘সমসাময়িক বিশ্বের চ্যালেঞ্জগুলোর প্রতি সমন্বিত ও পর্যাপ্ত সাড়াদান নিশ্চিতে বানদুংয়ের মূলনীতিগুলো সমুন্নত রাখা’ শীর্ষক এ সেশন বাকু কংগ্রেস সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গা সংকট একটি রাজনৈতিক বিষয় এবং এর শিকড় মিয়ানমারের গভীরে প্রোথিত। ‘সেই অনুযায়ী, এর সমাধান মিয়ানমারের ভেতরে পেতে হবে।’
বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতি তুলে ধরে তিনি বলেন, আর্থ-সামাজিক সফলতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ বর্তমানে দুটি চ্যালেঞ্জ- রোহিঙ্গা সংকট ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা করছে।
জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশের দায় সামান্য হলেও এর ধ্বংসাত্মক প্রভাবে মারাত্মভাবে ভুগছে এ দেশ।
জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে আন্তর্জাতিক, বিশেষ করে উন্নত দেশগুলোর পূর্ণ সাড়া দেয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।