তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১১ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন। রোহিঙ্গাদের সর্বশেষ আগমনের তিন বছর পূর্ণ হয়েছে। তারা এদেশের আর্থ-সামাজিক, পরিবেশগত ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীকে স্মরণীয় করে রাখতে নাইজেরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিওফ্রে অনিইয়েমার সাথে যৌথভাবে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্তকরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। নাইজেরিয়ার ডাকবিভাগের পক্ষ থেকে এ স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করা হয়।
এ সময় মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের নির্যাতন বন্ধ ও তাদের নিজ ভূমি মিয়ানমারে ফেরত নেয়ার বিষয়ে জাতিসংঘসহ অন্যান্য ফোরামে নাইজেরিয়ার জোরালো ভূমিকা অব্যাহত রাখার অনুরোধ করেন ড. মোমেন।
তিনি উল্লেখ করেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে গত দশকে বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, জাতির পিতার আদর্শ, ত্যাগ ও সারাজীবনের সংগ্রাম পৃথিবীর সকল মুক্তিকামী মানুষের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীকে স্মরণীয় করে রাখার লক্ষ্যে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করায় নাইজেরিয়ার সরকারকে ধন্যবাদ জানান তিনি। এধরনের উদ্যোগ দুদেশের বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও গভীর ও দৃঢ় করবে বলে উল্লেখ করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
নাইজেরিয়াকে আফ্রিকার বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হিসেবে উল্লেখ করে ড. মোমেন বলেন, দুদেশ কৃষি, শিক্ষা, প্রতিরক্ষা, দ্বৈত কর পরিহারসহ বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের বিষয়ে কাজ করছে।
নাইজেরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিওফ্রে অনিইয়েমা বলেন, পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে উভয়দেশ উপকৃত হবে। দুদেশের আন্তরিকতার নিদর্শন স্বরূপ এ স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করা হয়েছে।
এসময় বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর সংক্ষিপ্ত ভিডিও প্রদর্শন করা হয়। ভার্চুয়াল এ অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সংযুক্ত ছিলেন।