প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনে বিশ্বনেতাদের গুরুত্ব সহকারে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার গ্রান্ডে হ্যালে দে লা ভিলেতে প্যারিস শান্তি ফোরামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ‘মাইন্ডিং দ্য গ্যাপ: ইমপ্রুভিং গ্লোবাল গভর্ন্যান্স আফটার কোভিড-১৯’ শীর্ষক বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
এসময় শেখ হাসিনা বলেন, বাস্তূচ্যুত এই মানুষগুলো যাতে শীঘ্রই মিয়ানমারে ফিরে যেতে পারে তা নিশ্চিত করতে বিশ্বকে অবশ্যই গুরুত্ব সহকারে কাজ করতে হবে। অন্যথায় সংকট ও নিরাপত্তা ঝুঁকি শুধু আমাদের সীমানায় সীমাবদ্ধ থাকবে না। আমরা ইতোমধ্যে এর লক্ষণ দেখতে পাচ্ছি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ২০১৭ সালে মিয়ানমারের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত জনগণকে (রোহিঙ্গাদের) সাময়িক আশ্রয় দিয়ে একটি বড় আঞ্চলিক সংকট এড়াতে বিশ্বকে সাহায্য করেছে। এখন সময় এসেছে, আন্তর্জাতিক সীমান্তে আটকে থাকা কয়েক হাজার অভিবাসীর ঠিকানা নিশ্চিত করা।
আরও পড়ুন: ফরাসি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের অবশ্যই জাতি, বর্ণ এবং জাতিগত বৈষম্যের অবসান ঘটাতে হবে। আমাদের নারী এবং মেয়েদের সমস্ত শৃঙ্খল ভাঙ্গার সুযোগ দিতে হবে। আমাদের সবার জন্য উপযুক্ত কাজের সুযোগ তৈরি করতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বাস করে যে বিশ্বব্যাপী শান্তি আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য সর্বোত্তম গ্যারান্টি। আমরা সংঘাতের পথ এড়িয়ে চলি এবং বিরোধের মীমাংসা চাই। পুরনো এবং নতুন দ্বন্দ্বের ন্যায্য এবং স্থায়ী সমাধান খোঁজার জন্য আমাদের একটি যৌথ দায়িত্ব রয়েছে
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা আমাদের ভূমি অন্য কোনো দেশের বিরুদ্ধে ক্ষতিকর কর্মকাণ্ডে ব্যবহার হতে দেব না। ১৯৯৭ সালে ঐতিহাসিক ‘শান্তি চুক্তির’ মাধ্যমে আমাদের পার্বত্য চট্টগ্রামে সশস্ত্র সংঘাতের অবসান ঘটাই।
তিনি বলেন, আমরা সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ এর প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। আমরা সন্ত্রাসবাদের বিস্তারকে থামাতে কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, বহু বছর ধরে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অবদানকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ শীর্ষে রয়েছে। আমরা ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়ায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছি।
আরও পড়ুন:প্যারিসের উদ্দেশে লন্ডন ত্যাগ করলেন প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য সম্পর্ক নিয়ে প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন প্রয়োজন: প্রধানমন্ত্রী