রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ত্বরান্বিত করতে দক্ষিণ কোরিয়ার ‘আরও উদ্যোগ’ ও ‘সক্রিয়’ পদক্ষেপ চেয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, ‘এই রোহিঙ্গাদের স্বদেশে প্রত্যাবাসনে আপনি যদি আমাদের সাহায্য করতে পারেন তাহলে এটা হবে সত্যিকারের অর্জন।’
বৃহস্পতিবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বাংলাদেশ-দক্ষিণ কোরিয়া সম্পর্ক বিষয়ক এক সেমিনারে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি ঢাকা-সিউলের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরির সুযোগ বাড়িয়েছে: রাষ্ট্রদূত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে ‘কোরিয়া-বাংলাদেশ সম্পর্কের ৫০ বছর: প্রবণতা ও দিকনির্দেশনা’ শীর্ষক সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেন বাংলাদেশে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জাং-কেউন এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত দেলোয়ার হোসেন।
মোমেন বলেন, মিয়ানমারে অন্যতম বৃহৎ বিনিয়োগকারী দক্ষিণ কোরিয়া আসিয়ান দেশের সঙ্গে খুব ভালো সম্পর্ক বজায় রাখে।
বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা যেন মিয়ানমারে তাদের বাড়িতে ফিরে যেতে পারে সে জন্য তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারকে ‘আরও উদ্যোগ’ ও ‘সক্রিয় পদক্ষেপ’ নেয়ার অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারে আপনাদের কিছু সুবিধা আছে। তাই আমি আপনাকে সেই সুবিধা ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করছি।’
মানবিক কারণে কক্সবাজার ও ভাসানচরে বর্তমানে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিচ্ছে বাংলাদেশ।
মিয়ানমারে তাদের জনগণকে (রোহিঙ্গাদের) নিপীড়ন এবং তাদের দেশ থেকে জোরপূর্বক বের করে দেয়ার ইতিহাস রয়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমার আমাদের প্রতিবেশী, তারা আমাদের শত্রু নয়।
আরও পড়ুন: উন্নত ভবিষ্যতের জন্য একসঙ্গে কাজ করবে ঢাকা-সিউল
তিনি বলেন, অতীতে বহুবার সংলাপ ও আলোচনার মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন হয়েছে।
মোমেন বলেন, ‘এবার সংখ্যাটা অনেক বেশি। আমি আশা করি আপনাদের (দক্ষিণ কোরিয়া) সমর্থনে তারা তাদের জনগণকে ফিরিয়ে নেবে। কেননা আপনারা মিয়ানমারের একজন ভালো বন্ধু।’
বাংলাদেশে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত মানুষের জন্য মানবিক সহায়তার জন্য দক্ষিণ কোরিয়া সরকারকে ধন্যবাদও জানান তিনি।