হাইকমিশনার জোয়ানা বাস্তুচ্যুত মানুষগুলোকে উদারভাবে গ্রহণ এবং সুরক্ষা দেয়ায় বাংলাদেশ সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তিনি জানান, এসব উদ্বাস্তু মানুষের মানবিক সহায়তার জন্য নিউজিল্যান্ড ১ কোটি ৮০ লাখ ডলার দিয়েছে। তার মতে, এ সংকটের সমাধান হলো উদ্বাস্তুদের দ্রুত প্রত্যাবাসন।
তিনি আরও বলেন, সহজে ব্যবসা করার সূচকে ১৯০ দেশের মধ্যে নিউজিল্যান্ড প্রথমে রয়েছে। তাই বাংলাদেশে আরও বৈদেশিক বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য ব্যবসার পরিবেশ উন্নয়নে ঢাকার সাথে নিজেদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে চায় ওয়েলিংটন।
তিনি মঙ্গলবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের সাথে তার কার্যালয়ে বিদায়ী সাক্ষাৎ করতে এলে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
বাংলাদেশে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মাতৃ ও শিশু মৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস, দারিদ্র্য বিমোচন ও টেকসই উচ্চ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিপূর্ণ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের অত্যন্ত প্রশংসা করেন হাইকমিশনার জোয়ানা।
তিনি বাংলাদেশের সাথে অর্থনৈতিকভাবে আরও যুক্ত হওয়ার বিষয়ে নিউজিল্যান্ডের গভীর আগ্রহ তুলে ধরেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন নিউজিল্যান্ডের অনুকূলে থাকা দুদেশের মধ্যকার বাণিজ্যিক ব্যবধান কমিয়ে আনতে হাইকমিশনারের প্রতি আহ্বান জানান।
হাইকমিশনার জোয়ানা জানান, চলতি বছরের নভেম্বরে বাংলাদেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল নিউজিল্যান্ড সফর করবে। যেখানে দুদেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ আরও খতিয়ে দেখা হবে।