বর্তমান পরিস্থিতি ও সমস্যার কথা তুলে ধরে রোহিঙ্গা সংকটের দ্রুত ও স্থায়ী সমাধানে জাপানের সহযোগিতা কামনা করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
সোমবার জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হায়াশি ইয়োশিমাসার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ অনুরোধ জানান।
জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হায়াশি বাংলাদেশের প্রতি তার দেশের সমর্থন অব্যাহত রাখার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের মঙ্গলবারের রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বর্তমানে জাপান সফর করছেন।
দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী গুরুত্বপূর্ণ সমসাময়িক আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা সৌদি কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে বিনিয়োগে আকৃষ্ট করে: সৌদি রাষ্ট্রদূত
জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউক্রেন, উত্তর কোরিয়া এবং ইন্দো-প্যাসিফিক বিষয়ে জাপানের অবস্থানের রূপরেখা তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা করেন।
মোমেন বিশ্ব শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষায় বাংলাদেশের অবদান, শান্তির সংস্কৃতি গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরেন।
বৈঠকের শুরুতে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সম্মানে বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় শোক পালন এবং সংসদে শোক প্রস্তাব গৃহীত হওয়ায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি ঢাকায় জাপান দূতাবাসে শোক বইতে সই করায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের দৃঢ় অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: শিগগিরই বাংলাদেশ সফরে আসবেন হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, শিনজো আবে দীর্ঘদিন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং তার সময়ে ‘ব্যাপক অংশীদারিত্বে’ দুই দেশের একটি সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে বর্তমান সুসম্পর্ক বাড়াতে জাপানের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
জাপানকে বৃহত্তম দ্বিপক্ষীয় উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে উল্লেখ করে মোমেন বাংলাদেশে আরও জাপানি বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানান এবং দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধির ওপর জোর দেন।
মোমেন জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী দু’দেশের মধ্যে চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সেলিমা আহমেদ এমপি ও জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমেদ এবং দূতাবাসের কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।