তিনি বলেন, বাংলাদেশ ছাড়াও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে।
রাজধানী ঢাকায় এক ওয়েবিনারে যুক্ত হয়ে তিনি বলেন, নিউইয়র্ক, জেনেভা, হেগ এবং এ অঞ্চলেও চাপ প্রয়োগের পদক্ষেপ অবশ্যই নেয়া উচিত।
তিনি আরও বলেন, মিয়ানমারে মানবিক সহায়তার জন্য নির্বিঘ্নে প্রবেশাধিকারের ওপর জোর দেয়া, যুদ্ধবিরতি মেনে চলা এবং শান্তি বজায় রাখার জন্য রাজনৈতিক সংলাপের আয়োজন করা উচতি।
আমেরিকার রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, মানবিক সহায়তা প্রদান, কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগ এবং রোহিঙ্গা সংকটের আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সাড়াদানে অনুঘটক হিসেবে কাজ করার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র তাদের নেতৃত্ব দেয়া অব্যাহত রাখবে।
প্রাতিষ্ঠানিক বৈষম্য ও অবিশ্বাসের সমাধানে রাখাইন রাজ্যে প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত পরিবর্তনের জন্য কফি আনানের নেতৃত্বাধীন উপদেষ্টা কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য নব উদ্যোগের প্রতি জোর দেন তিনি।
সোমবার কানাডিয়ান হাইকমিশন ও নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সাউথ-এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব পলিসি অ্যান্ড গভর্নেন্সের (সিআইপিজি) সেন্টার ফর পিস স্টাডিজ (সিআইপিজি) রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে এ ওয়েবিনারের আয়োজন করে।
বাংলাদেশ ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে। সর্বশেষ ২০১৭ সালে আগস্ট মাসে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী রাখাইন রাজ্যে গণহত্যা শুরু করলে ৭ লাখ ৪০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চলছে। কিন্তু বাংলাদেশের প্রস্তুতি সত্ত্বেও গত কয়েক বছর চেষ্টা করেও এখনও কোনো রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন সম্ভব হয়নি।