ইউরোপীয় ইউনিয়নে বাংলাদেশের নবনিযুক্ত মিশন প্রধান রাষ্ট্রদূত মাহবুব হাসান সালেহ বৃহস্পতিবার ব্রাসেলসে চার্লস মিশেলের সাথে সাক্ষৎকালে তিনি রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশকে সহায়তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
এ সময় অস্থায়ীভাবে বাংলাদেশে আশ্রয়প্রাপ্ত জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের রাখাইন রাজ্যে নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও স্থায়ী প্রত্যাবাসনে তাদের মধ্যে আস্থা অর্জনের জন্য বিশ্বাসযোগ্য ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন রাষ্ট্রদূত সালেহ।
কোভিড টিকা দেয়া শুরু করেছে ইইউ
প্রেসিডেন্ট মিশেল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে তার আগের বৈঠকের কথা স্মরণ করেন, যার মধ্যে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে মাদ্রিদে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ সম্মেলনও রয়েছে।
রাষ্ট্রদূত সালেহ ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে উষ্ণ শুভেচ্ছা জানান।
জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মতবিনিময় এবং আরও নিবিড়ভাবে কাজ করার জন্য বাংলাদেশ ও ইইউর মধ্যে একটি দ্বিপক্ষীয় প্ল্যাটফর্ম স্থাপনের পরামর্শ দেন রাষ্ট্রদূত সালেহ।
ইইউ-যুক্তরাজ্যের বিশাল বাণিজ্য চুক্তি প্রকাশ, কার্যকর ১ জানুয়ারি
এছাড়া চলতি বছরের শেষ নাগাদ যুক্তরাজ্যে অনুষ্ঠিতব্য কপ-২৬ সম্মেলনে সিভিএফ-ইইউ নেতাদের বৈঠক করারও পরামর্শ দেন তিনি। এসব পরামর্শে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মিশেল।
পারস্পরিক আগ্রহের প্রচলিত ক্ষেত্রগুলোর পাশাপাশি বাংলাদেশ-ইইউ অংশীদারিত্বের পরিধি বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করেছেন বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত।
প্রেসিডেন্ট মিশেল জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা, মাইগ্রেশন এবং মানবাধিকার সমস্যা সমাধানে আরও সম্পৃক্ত হওয়ার আগ্রহ করেছেন।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে পুরো বিশ্ব সম্প্রদায়ের এক হওয়া উচিত: ইইউ
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশ সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন রাষ্ট্রদূত সালেহ।
বেলজিয়ামে বিদ্যমান স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় রাষ্ট্রদূতের সাথে ছিলেন কাউন্সেলর (বাণিজ্য) মো. শফিউল আজম এবং মিশনের সচিব (রাজনৈতিক) কানিজ ফাতেমা।
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ইইউ’র অনুদানকে স্বাগত জানিয়েছে ইউএনএইচসিআর