জোটের ২৭ দেশ সমন্বিত এবং ন্যায্যভাবে টিকাদানের এ কর্মসূচি নিয়েছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাপী কোভিড আক্রান্ত ৮ কোটি ছাড়াল
টিকাদান শুরু উপলক্ষে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেন এক ভিডিও প্রকাশ করেছেন। তিনি কর্মসূচি শুরুর সময়টিকে গত একশ বছরের মাঝে দেখা দেয়া সবচেয়ে গুরুতর জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত এ সংকটক থেকে ইইউ’র ৪৫ কোটি মানুষকে রক্ষার লড়াইয়ের ‘ঐক্যের মর্মস্পর্শী মুহূর্ত’ বলে বর্ণনা করেছেন।
এদিকে, ইইউজুড়ে টিকাদান শুরুর এক দিন আগেই জার্মানি, হাঙ্গেরি ও স্লোভাকিয়ায় টিকা দেয়া শুরু হয়ে গেছে। জার্মানির এক বৃদ্ধাশ্রমে শনিবার বেশ কয়েকজন প্রবীণকে টিকা দেয়া হয়। সেখানে কর্মরত একজন বলেন, যেখানে একটি বিষয়ের জন্য প্রতিটি দিনই অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে সেখানে একটি দিনই অনেক বড় সময়।
আরও পড়ুন: মাস্ক ব্যবহারই সমাধান হলে অবহেলার সুযোগ নেই: বিশেষজ্ঞদের মত
কয়েক সপ্তাহ আগেই ব্রিটেন, কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রে টিকাদান শুরু হয়ে যাওয়ায় এ বিষয়ে ইইউ’র বাসিন্দাদের মাঝে হতাশা বাড়ছিল। এখন তাদের দেশগুলোতেও শেষ পর্যন্ত টিকা এসে যাওয়ায় হতাশা দূর হয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইইউ’র ২৭ দেশে কমপক্ষে ১ কোটি ৬০ লাখ মানুষের করোনাভাইরাস সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে এবং মারা গেছেন ৩ লাখ ৩৬ হাজারের বেশি। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে মহামারিতে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা আসলে আরও অনেক বেশি।
আরও পড়ুন: মা আক্রান্ত হলেও গর্ভের সন্তানের করোনা হওয়ার সম্ভাবনা কম: গবেষণা
জার্মানির বায়োএনটেক এবং আমেরিকার ফাইজারের যৌথভাবে তৈরি করা টিকার প্রথম চালান ইইউ’র বেশির ভাগ দেশ পেয়েছে মাত্র ১০ হাজার ডোজ করে। দেশগুলোতে গণহারে টিকাদান জানুয়ারিতে শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রথম দিকে টিকা কারা পাবেন তা দেশগুলো নিজেরা ঠিক করে নিচ্ছে। স্পেন, ফ্রান্স ও জার্মানিসহ অন্যান্য দেশ প্রথমে প্রবীণ জনগোষ্ঠী ও বৃদ্ধাশ্রমের বাসিন্দাদের টিকা দেয়ার অঙ্গিকার করেছে।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাসের নতুন ‘ধরন’ কতটা উদ্বেগের কারণ?
ভাইরাসে ৭১ হাজারের বেশি মৃত্যু নিয়ে ইউরোপের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ ইতালির রোমে সংক্রামক রোগ সংক্রান্ত প্রধান প্রতিষ্ঠান স্পালানজানি হাসপাতালের একজন নার্স দেশটির প্রথম ব্যক্তি হিসেবে টিকা নেবেন। পরে অন্য স্বাস্থ্য কর্মীদের টিকা দেয়া হবে।
পোল্যান্ডও চিকিৎসক, নার্স ও ভাইরাসের বিরুদ্ধে সামনের সারিতে থাকা অন্যদের অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: দেশে কোভিডের নতুন ধরন: বিশেষজ্ঞরা বলছেন চিন্তার কিছু নেই
জার্মানির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়েন্স স্পান বলেন, ‘এসে গেছে, বড়দিনে এসেছে সুখবর। এ টিকা হলো মহামারির ইতি টানার চূড়ান্ত সহায়...এটি হলো আমাদের জীবন ফিরে পাওয়ার সহায়।’
ইউরোপীয় ওষুধ সংস্থা আগামী ৬ জানুয়ারি করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় একটি টিকার অনুমোদন দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করবে। এটি হবে মডার্নার টিকা। ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে এ টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।