তিনি নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
সোমবার সন্ধ্যায় নিসচার প্রচার সম্পাদক এ কে এম ওবায়দুর রহমানের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, দেশে করোনা মহামারির সময় সীমিত পরিসরে গণপরিবহন চলাচলের মধ্যেও এ ধরনের দুর্ঘটনা প্রমাণ করে, দেশের যোগাযোগব্যবস্থা কতটা নাজুক।
তিনি আরও বলেন, সড়কের ওপর চাপ কমাতে রেল ও নৌপথের পরিধি সম্প্রসারিত করে একটি সমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার কথা সরকার প্রায়ই বলে থাকলে সে উদ্যোগ বাস্তবায়ন প্রকৃত অর্থে চ্যালেঞ্জের। এ দুর্ঘটনা প্রমাণ করে দেশের নৌ যোগাযোগ ব্যবস্থার আরও আধুনিকায়ন দরকার।
‘নৌপথে লঞ্চের যাত্রীদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের আরও দায়িত্বশীল ও সচেতন হওয়া জরুরি,’ যোগ করেন তিনি।
নিসচা চেয়ারম্যান বলেন, সড়ক, রেল, নৌ- কোনো যোগাযোগ মাধ্যমই সত্যিকার অর্থে নিরাপদ হয়ে উঠেনি এখনও। যাত্রীদের নিরাপত্তার অভাব রয়েছে সবখানে। অতীতে অনেক লঞ্চ দুর্ঘটনায় ব্যাপক সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হলেও এসব দুর্ঘটনায় দায়ীদের বিচারের আওতায় আনা হয়নি। একই সঙ্গে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে তেমন টেকসই পদক্ষেপও নেওয়া হয়নি।
প্রসঙ্গত, সকালে সদরঘাটের শ্যামবাজারের কাছে বুড়িগঙ্গা নদীতে একটি লঞ্চের ধাক্কায় আরেকটি লঞ্চ ডুবে যায়। এ দুর্ঘটনায় ৩২ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আরও অনেক নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের উদ্ধারে তৎপরতা চালাচ্ছেন নৌবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।