লিবিয়া থেকে আরও ১৪৪ জন অনিয়মিত বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৪টার দিকে বুরাক এয়ারের একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে তারা দেশে ফেরেন।
লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপলিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা ও আর্ন্তজাতিক অভিবাসন সংস্থার প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়।
তাদের বেনগাজি শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে আটক করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: লিবিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন আরও ১৩৬ বাংলাদেশি
এ নিয়ে ২০২৩ সালের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৩৯০ জন বাংলাদেশি নাগরিককে লিবিয়া থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তারা ত্রিপলি ও বেনগাজি শহরের বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারসহ বিচ্ছিন্ন স্থানে আটক ছিলেন।
শুক্রবার ভোরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আর্ন্তজাতিক অভিবাসন সংস্থার কর্মকর্তারা ফেরত আসা বাংলাদেশিদের অভ্যর্থনা জানান।
বিমানবন্দরে আর্ন্তজাতিক অভিবাসন সংস্থার পক্ষ থেকে তাদের প্রত্যেককেই পকেট মানি হিসেবে ছয় হাজার টাকা ও কিছু খাদ্যসমগ্রী দেওয়া হয়।
বিমানবন্দরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (কল্যাণ) মোস্তফা জামিল খান লিবিয়া ফেরত অভিবাসীদের খোঁজখবর নেন।
তিনি অভিবাসীদের লিবিয়াতে তাদের ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা বাড়িতে প্রতিবেশী ও আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ দেন।
কেউ যেন টাকা খরচ করে বা দালালের খপ্পরে পড়ে অবৈধ পথে বিদেশে পা না বাড়ায় সে বিষয়ে পরিচিত সবাইকে সচেতন করতে অভিবাসীদের অনুরোধ করেন মোস্তফা জামিল খান।
উল্লেখ্য, লিবিয়ায় বিপদগ্রস্তসহ বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে আটক বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপদে দেশে প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করতে বাংলাদেশ দূতাবাস, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আর্ন্তজাতিক অভিবাসন সংস্থা একসঙ্গে নিরলসভাবে কাজ করছে।