তিনি বলেন, ‘আমাদের শিশু ও কিশোররা অত্যন্ত মেধাবী। আর আমরা এ মেধা বিকাশের সুযোগ করে দিতে চাই। আমরা শিশুদের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক ও দুর্নীতি থেকে দূরে রেখে ধীরে ধীরে উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। তাই, লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চা অপরিহার্য।’
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বালকদের অনূর্ধ্ব-১৭ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট এবং বালিকাদের অনূর্ধ্ব-১৭ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি শনিবার জাতীয় স্টেডিয়ামে ফাইনালের পর দুই টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স-আপ দল এবং সেরা ও সর্বোচ্চ গোলদাতাদের মাঝে পুরস্কার ও মেডেল বিতরণ করেন। সেই সাথে তিনি দুই টুর্নামেন্টের সেরা গোলকিপার ও ফাইনালের সেরা খেলোয়াড়দের মেডেল দেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে বালকদের অনূর্ধ্ব-১৭ ফাইনালে বরিশাল বিভাগ ২-১ গোলে চট্টগ্রাম বিভাগকে হারায়। অন্যদিকে, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে বালিকাদের অনূর্ধ্ব-১৭ ফাইনালে ঢাকা বিভাগ ও খুলনা বিভাগের খেলা ২-২ গোলে ড্র হওয়ার পর পেনাল্টিতে ৪-৩ গোলে জয় পায় খুলনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, লেখাধুলার প্রতিযোগিতা শিশুদের মেধা বিকাশের সুযোগ করে দেয় এবং এতে তারা সুস্বাস্থ্য ও উদার মনের অধিকারী হয়। ‘আর সবচেয়ে বড় কথা খেলাধুলা দেশের জন্য গৌরব বয়ে আনে।’
আজকে বাংলাদেশ ক্রীড়া ক্ষেত্রে যথেষ্ট অগ্রগতি লাভ করেছে উল্লেখ করে তিনি এ অগ্রগতি ধরে রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইল জেলা স্টেডিয়ামে এ টুর্নামেন্টের প্রথম পর্ব শুরু হয়েছিল।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত জোয়াও তাবাজারা ডি অলিভেরিয়া, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন, যুব ও ক্রীড়া সচিব আকতার হোসেন প্রমুখ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।