অর্থ ও শক্তিশালী রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবে বৈশ্বিক জলবায়ু কর্মকাণ্ড কার্যকর হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার। তিনি বলেন, ‘অভিযোজন এবং প্রশমনের জন্য উন্নত দেশগুলোকে ৫০: ৫০ বরাদ্দসহ বার্ষিক ১০০-বিলিয়ন ডলার জলবায়ু অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে হবে।’
সোমবার প্রধানমন্ত্রী কপ২৬ ভেন্যুতে ‘এ্যাকশন এন্ড সলিডারিটি- ক্রিটিক্যাল ডিকেড’ শীর্ষক সভায় এসব কথা বলেন।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবং ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি এ সভার আয়োজন করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম (সিভিএফ)-এর প্রেসিডেন্ট এবং গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপ্টেশনের দক্ষিণ এশীয় অফিসের আয়োজক হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে স্থানীয়ভাবে পরিচালিত অভিযোজনের উন্নয়ন করছে। কিন্তু অর্থ ও শক্তিশালী রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবে বিশ্বব্যাপী অভিযোজন কর্মকাণ্ড কার্যকর হচ্ছে না।’
এটি মোকাবিলার জন্য উন্নত দেশগুলোকে অভিযোজন এবং প্রশমনের জন্য ৫০:৫০ বরাদ্দসহ বার্ষিক ১০০ বিলিয়ন ডলার জলবায়ু অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে কোনো দেশ সুরক্ষিত নয়: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ অভিযোজন ও প্রশমন উদ্যোগ এবং স্থিতিস্থাপকতার ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী এগিয়ে রয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এ বছর তিন কোটি চারা রোপণ করছে এবং দেশের উন্নয়নের গতিপথকে কৌশলগত স্বল্প-কার্বন পথে পরিচালিত করতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে ‘মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্লান’চালু করতে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সম্প্রতি একটি উচ্চাভিলাষী ন্যাশনালি ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশন (এনডিসি) পেশ করেছে। আমরা অভিযোজন উদ্যোগগুলোর উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির সাথে আমাদের জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনার খসড়াও তৈরি করেছি।’