বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। দীর্ঘদিনের ছুটি কাটিয়ে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো আবার খুলে দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে সারাদেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠগুলোও খুলে গেছে। ভার্চুয়াল থেকে সশরীরে ক্লাসে ফিরেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বস্তরের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার সশরীরে ক্লাস কার্যক্রম শুরু হয়েছে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি)।
করোনাকালীন সময়ে প্রথম থেকেই অনলাইন কার্যক্রমে সচল ব্যবস্থাপনা চালু রেখেছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগের শিক্ষার্থীরা দুটি সেমিস্টারের ক্লাস-পরীক্ষা ইতোমধ্যে সম্পন্ন করতে পেরেছে। যা শিক্ষার্থীদের সেশনজটের মানসিক চিন্তা থেকে অনেকাংশে স্বস্তি দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে করোনার টিকাদান শুরু
মঙ্গলবার সশরীরে ক্লাস শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা, ইংরেজি, ব্যবসায় প্রশাসনসহ বেশ কয়েকটি বিভাগ। দীর্ঘ দিন পর সহপাঠীদের একসাথে ক্লাসে পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘ দিন পর ক্লাসে ফেরায় বিভাগগুলোর পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন উপহারসামগ্রী দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়।
সরেজমিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে গিয়ে দেখা যায় বিভাগটিতে অবকাঠামোগত বেশ কিছু পরিবর্তন এসেছে। শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ল্যাব কক্ষ, নতুন ফার্নিচার সংযোজন, নতুন চেয়ার টেবিল সংযোজনসহ বাড়তি সৌন্দর্য বিদ্যমান। এছাড়াও সশরীরে ক্লাসে ফেরা নিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে স্বাস্থ্যবিধি, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি থাকছে শতভাগ।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
ক্লাসে ফেরার আনন্দের অনুভূতি জানিয়ে বাংলা বিভাগের মাস্টার্স প্রথম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী রোহিতুজ্জামান নাজমুল আহসান বলেন, দীর্ঘদিন পর এই ক্লাসে ফিরতে পেরে আনন্দ কাজ করছে। দীর্ঘদিন পর সেই পরিচিত মুখ, সেই পরিচিত ক্যাম্পাস, এ যেন এক নতুন অনুভূতি।
বাংলা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. ফারজানা সিদ্দিকা বলেন, আজকে আবারও আমাদের সশরীরে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হল। করোনা পরবর্তী শাবিপ্রবির বাংলা বিভাগ নতুনভাবে যাত্রা শুরু করছে। করোনার এই সময়ে একাডেমিক যতটুকু ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে নেয়ার জন্য সর্বত্র চেষ্টা থাকবে।
উল্লেখ্য, গত ২৫ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের সব আবাসিক হল খুলে দেয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী, করোনার টিকার অন্তত এক ডোজ যেসব শিক্ষার্থী নিয়েছেন শুধু তারাই আবাসিক হলে উঠতে পারবেন এবং সশরীরে ক্লাসে অংশ নিতে পারবেন।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতেই সিলেট বিভাগের প্রথম বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মিত হয়