করোনাকালে অসহায়, গরীব-দুঃস্থ, খেটে খাওয়া ও কর্মহীন মানুষকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে খাদ্য ও নগদ অর্থসহ মানবিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন তা সারা বিশ্বে এক অনন্য নজির বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
মন্ত্রী শনিবার তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি টাঙ্গাইলের ধনবাড়ি উপজেলার যদুনাথপুর ইউনিয়নে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় গরীব অসহায় ব্যক্তি, দুঃস্থ পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুনঃ অপ্রচলিত ফসল চাষে পাহাড়ের অর্থনৈতিক চেহারা পাল্টে যাবে: কৃষিমন্ত্রী
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, করোনার সংক্রমণরোধে আরোপিত লকডাউনে শ্রমজীবী ও স্বল্প আয়ের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আয়ের পথ সংকুচিত হয়েছে। এছাড়া, অনেক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনার শুরু থেকেই খাদ্য ও আর্থিক সহায়তা নিয়ে অব্যাহতভাবে এসব মানুষের পাশে আছেন।
আরও পড়ুনঃ কৃষিপণ্যের রপ্তানি বাধা দূর করতে কাজ করছে সরকার: কৃষিমন্ত্রী
ড. রাজ্জাক আরও বলেন, দেশে খাদ্য নিয়ে কোন হাহাকার নেই। তারপরও এই ঈদুল আজহাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক কোটির বেশি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছেন। ঈদ পরম আনন্দের ও খুশির দিন। প্রধানমন্ত্রী চান, এই দিনে কোনভাবেই দেশের একটি মানুষও যেনো না খেয়ে থাকে। খাদ্যের অভাবে একটি মানুষেরও ঈদ আনন্দ যাতে ম্লান না হয়। তাই, প্রধানমন্ত্রী প্রতিবছরের মতো এবারও ঈদের আগে অসহায় ব্যক্তি ও দুঃস্থ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছেন।
আরও পড়ুনঃ চালের উৎপাদন বেড়েছে চার গুণেরও বেশি: কৃষিমন্ত্রী
যদুনাথপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মীর ফিরোজ আহমেদের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে ধনবাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ হীরা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামিউল হক, উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মন্ত্রী টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলায় অসহায় ব্যক্তি, দুঃস্থ পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হন। এসময় মধুপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীমা ইয়াসমিন, পৌর মেয়র সিদ্দিক হোসেন খান, উপজেলা পরিষদের সদস্যবৃন্দ ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।