শনিবার রাজধানীর নজরুল একাডেমিতে সৌদি আরবের প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে এক ভার্চুয়াল সভায় শুক্রবার প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ড. মোমেন বলেন, ‘আমাদের প্রতিবেশী মিয়ানমার থেকে বাস্তচ্যুত হয়ে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। পৃথিবীতে টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধের মন-মানসিকতা সৃষ্টি করতে হবে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সাহিত্যকর্ম বাঙালি জাতি হিসেবে আমাদের মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর প্রেরণা দেয়। তিনি সারা পৃথিবীর শোষিত ও নিপীড়িত মানুষের মধ্যে মুক্ত চেতনার বীজ বপন করেছেন, যা সারা পৃথিবীর স্বাধীনতাকামী মানুষের জন্য এক শ্রেষ্ঠ উদাহরণ হয়ে আছে।
ড. মোমেন বলেন, কাজী নজরুল ইসলামের সাহিত্যকর্ম মানুষ ও মনুষত্বের বিবেচনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তার সাহিত্যসমূহ অসাম্প্রদায়িক চেতনা এবং মানবজাতির সহ-অবস্থানের প্রকৃষ্ট উদাহরণ। আজ সারা বিশ্ব নারীর ক্ষমতায়নের উপর জোর দিচ্ছে। কিন্তু আজ থেকে প্রায় ৯৮ বছর আগে নজরুল নারীর উপর সামাজিক নির্যাতন ও বৈষম্য দূর করার জন্য অকূতোভয় আহ্বান জানিয়েছিলেন।
নজরুল একাডেমির মত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পাবলিক ডিপলোমেসিতে ভূমিকা রাখবে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে সৌদি আরবে বাংলদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ, বাহরাইনের রাষ্ট্রদূত মো. নজরুল ইসলাম, উজবেকিস্তানের রাষ্ট্রদূত মাসুদ মান্নান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক সারোয়ার আলম, নজরুল সংগীত শিল্পী ফেরদৌস আরা, শিল্পী ফাহমিদা রহমান এবং নজরুল একাডেমি সৌদি আরবের সভাপতি ড. মো. নুরুন্নবী অংশগ্রহণ করেন।