সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘সচিবালয়ের ভেতরের সব ভবনে প্রয়োজনীয় সার্কিট ব্রেকার রয়েছে।’
ফায়ার সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর দেশে যত অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে তার ৩৯ শতাংশের সূত্রপাত হয়েছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে।
গত ২৮ মার্চ রাজধানীর বনানীর এফআর টাওয়ারে ২৬ জনের জীবন কেড়ে নেয়া ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর শফিউল আলমের এ মন্তব্য পাওয়া গেল। এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে পুরান ঢাকায় রাসায়নিকের গুদামে আগুন লেগে ৭১ জন প্রাণ হারান।
নগরবিদরা বলছেন, বহুতল ভবন তৈরির সময় নির্মাণ বিধি লঙ্ঘন এবং নিরাপত্তার বিষয়গুলো উপেক্ষা করার কারণে ঢাকা ও আশপাশে প্রায় এক কোটি ৮০ লাখ মানুষ অগ্নিকাণ্ড ও ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছেন।
সচিব শফিউল আলম বলেন, সচিবালয়ের ভবন-১ ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে থাকায় সেখানে থাকা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অন্য আরেকটি ভবনে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তবে তিনি উল্লেখ করেন, ভূমিকম্পের সময় সরে যাওয়ার জন্য সচিবালয়ে কর্মরতরা পর্যাপ্ত সময় পাবেন।
‘সচিবালয়ের ভবনগুলোর ভূমিকম্প ও অন্যান্য ঝুঁকি নিয়ে আলোচনা ও পর্যালোচনা করতে আমরা সংশ্লিষ্টদের সাথে বৈঠক করব,’ যোগ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, সচিবালয়ের ভেতরে একটি ২০তলা ভবন নির্মাণের নকশা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। ‘ভবনটিকে সব ধরনের ঝুঁকি থেকে মুক্ত রাখতে তাতে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থাকবে।’