মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন সন্ত্রাস দমনে এলিট ফোর্স র্যাবের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার স্বীকৃতি দিয়ে বলেন, র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে এবং আমেরিকান বাহিনীর সঙ্গে প্রশিক্ষণ পুনরায় শুরু করতে সময় লাগতে পারে।
সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের সময় তিনি একথা বলেন।
এসময় বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) পুনর্বিবেচনার প্রশংসা করেন অ্যান্টনি ব্লিনকেন।
বৈঠকে মানবাধিকার সংক্রান্ত বিষয়ে, উভয় পক্ষই গত চার মাসে কিছু লক্ষণীয় অগ্রগতি হওয়ার বিষয়টির উপর জোর দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনকে ব্লিনকেনের চিঠি
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন জোর দিয়ে বলেন,বাংলাদেশি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। র্যাবে তদন্তের একটি ব্যবস্থা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর ভিত্তিতে বেশ কয়েকজনকে শাস্তি দেয়া হয়েছে।
২০০৪ সালে র্যাব গঠনের প্রেক্ষাপট চিত্রিত করে তিনি বলেন,র্যাব বাংলাদেশের সন্ত্রাস-বিরোধী প্রচেষ্টায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। যা নিষেধাজ্ঞার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
মোমেন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অন্যতম দণ্ডিত খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত পাঠানোর বিষয়টি অনুধাবনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি ও সহায়তা কামনা করেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশের উষ্ণ সম্পর্কের ভিত্তি করে দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিনকেন অপার সম্ভাবনার সঙ্গে পরবর্তী ৫০ বছরে কাজ করার বিষয়েও জোর দিয়েছেন।
তিনি জলবায়ু কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশের নেতৃত্ব, রোহিঙ্গাদের প্রতি উদারতা এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে ভূমিকার প্রশংসা করেন।
ব্লিনকেন মহামারি মোকাবিলায় দুই দেশের মধ্যকার সহযোগিতার বিষয়েও সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।