বাতাসের মানের দিক দিয়ে বাংলাদেশে সবচেয়ে দূষিত বাতাস গাজীপুর জেলায় এবং মাদারীপুরে সবচেয়ে ভালো বাতাস। দেশব্যাপী করা এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।
গাজীপুর জেলার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা প্রতি ঘনমিটারে ২৬৩ দশমিক ৫১ মাইক্রোগ্রাম পাওয়া যায় এবং মাদারীপুরে তা ৪৯ দশমিক ০৮ মাইক্রোগ্রাম।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ‘৬৪ জেলার বায়ুদূষণ সমীক্ষা ২০২১’ উপস্থাপন করে স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়নকেন্দ্র (ক্যাপস)।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী নকী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এবং ক্যাপসের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান অধ্যাপক আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার সমীক্ষার ফলাফল তুলে ধরেন।
বায়ুদূষণের দিক দিয়ে দ্বিতীয় ঢাকা (২৫২ দশমিক ৯৩ মাইক্রোগ্রাম) ও তৃতীয় অবস্থানে নারায়ণগঞ্জ জেলা (২২২ দশমিক ৪৫ মাইক্রোগ্রাম)।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান ‘অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর’
অধ্যাপক মজুমদার বলেন, ওই তিন জেলায় সবচেয়ে দূষিত বাতাসের কারণ- রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি, মেগা প্রকল্প, ইটভাটা, শিল্পকারখানা, ফিটনেসবিহীন যানবাহনের কালো ধোঁয়া, ময়লা-আবর্জনা পোড়ানো প্রভৃতি।
বাতাসের মানের দিক দিয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ভালো জেলা হলো- পটুয়াখালী (৫১.৪২) ও মেহেরপুর (৫৩.৩৭)।
২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত তিন হাজার ১৬৩টি স্থানের বস্তুকণার মান পর্যবেক্ষণ ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে পর্যালোচনা করে এমন তথ্য পায় প্রতিষ্ঠানটি।
ক্যাপস চেয়ারম্যান বলেন, এ তিন জেলায় বায়ুদূষণ কম হওয়ার কারণ- সংশ্লিষ্ট এলাকার ভৌগোলিক অবস্থান, অনেক গাছপালা, প্রাকৃতিক জলাধার প্রভৃতি থাকা। এ ছাড়া এসব এলাকায় রাস্তা সংস্কারের কাজও খুব একটা লক্ষ করা যায়নি।
আরও পড়ুন: দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষে ঢাকা
তিনি বলেন, বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণার দৈনিক আদর্শ মান ৬৫ মাইক্রোগ্রাম। তবে সমীক্ষায় দেখা যায়, তিন হাজার ১৬৩টি স্থানের গড় অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা প্রতি ঘনমিটারে ১০২ দশমিক ৪১ মাইক্রোগ্রাম যা দৈনিক আদর্শ মানের চেয়ে তা প্রায় এক দশমিক ৫৭ গুণ বেশি।