তিনি বলেন, ‘পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে সর্বস্থরের জনগণকে এর সাথে সম্পৃক্ত করতে হবে। আমাদের যে সম্পদ আছে তাকে কাজে লাগিয়ে পর্যটনের সম্ভাবনাকে বাস্তব রূপ দিতে হবে।’
বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে শনিবার বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনলাইনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এ বছর ‘গ্রামীণ উন্নয়নে পর্যটন’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে রবিবার সারা দেশে বিশ্ব পর্যটন দিবস পালিত হবে। দিবসটি উদযাপনের জন্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড এবং বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন বিস্তারিত কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কোভিড-১৯-এর কারণে বন্ধ থাকা পর্যটন কেন্দ্রগুলো আস্তে আস্তে খুলতে শুরু করেছে। যেগুলো এখনও বন্ধ রয়েছে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ সাপেক্ষে সেগুলো আস্তে আস্তে খুলে দেয়া হবে।’
তিনি জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটন শিল্পকে পরিচালনা করার জন্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড ইতোমধ্যে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) প্রণয়ন করেছে। এ এসওপি অনুযায়ী, স্থানীয় পর্যটন খাত পরিচালিত হচ্ছে কি না তা তত্ত্বাবধানের জন্য জেলা প্রশাসনের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসনকে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের বিষয়টি কঠোরভাবে তত্ত্বাবধান করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও জনগণ যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটন কেন্দ্রে গমন করেন সেই জন্য বিভিন্নভাবে জনসচেতনতা তৈরি করার জন্য কাজ চলছে।
মাহবুব আলী বলেন, কোভিড-১৯-এর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পগুলোর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে বিভিন্ন প্রণোদনা ঘোষণা দিয়েছেন। তার মধ্যে পর্যটন শিল্পও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত পর্যটন শিল্পকে চাঙ্গা করতে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড পর্যটন অংশীজনদের সাথে আলোচনা করে ইতোমধ্যে একটি রিকভারি প্ল্যান তৈরি করেছে।
‘বাংলাদেশের গ্রাম না দেখলে বাংলাদেশকে দেখা হবে না। গ্রামীণ পর্যটনের বিকাশ গ্রামের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি গ্রামীণ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে ত্বরান্বিত করবে। গ্রামীণ জনসাধারণকে পর্যটন কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করতে ও তাদের মাঝে সচেতনতা তৈরির জন্য বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড কাজ করে চলছে। ভবিষ্যতে এ কাজের পরিধি আরও বৃদ্ধি করা হবে,’ বলেন প্রতিমন্ত্রী।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মহিবুল হক, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাবেদ আহমেদ, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান রাম চন্দ্র দাস ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।