রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন বৃহস্পতিবার দেশবাসীকে সবার জন্য ভালো কিছু করার চিন্তা করার আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘শুধু নিজের এবং পরিবারের জন্য ভালো কিছু করার কথা ভাববেন না। সবার জন্য ভালো কিছু করার চিন্তা করতে হবে।’

বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব 'বুদ্ধ পূর্ণিমা' উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ভবনের সনদ হলে বৌদ্ধ নেতৃবৃন্দের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করার জন্য বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি আরও বলেন, জনগণকে আলো দেখান এবং দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করুন।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বের সব ধর্মই সর্বদা মানুষের কল্যাণের কথা বলে এবং প্রতিটি ধর্মেরই ভালো জিনিস রয়েছে।

গৌতম বুদ্ধকে মানবতা ও স্বাধীনতার প্রতীক হিসেবে আখ্যায়িত করে তিনি সকল বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষকে ধর্ম থেকে সেরা জিনিসটি গ্রহণ করার পরামর্শ দেন।

তিনি বৌদ্ধ নেতাদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম ধর্মীয় সম্প্রদায়ের অংশ... এই অঞ্চলে তথা বিশ্বে শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করার জন্য আপনাদের অনেক দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে।’

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আসুন আমরা সৎ ও সুন্দর জীবনযাপনে অনুপ্রাণিত হই, সব ধরনের অসৎ কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকি এবং ভালো কাজের মাধ্যমে দেশের যোগ্য নাগরিক হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলি।’

ধর্ম মানবজাতির কল্যাণের জন্য এবং ধর্ম মানুষের জন্য উল্লেখ করে তিনি আশা প্রকাশ করেন, বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দকে অবশ্যই মহামতি বুদ্ধের শিক্ষা নিজেদের জীবনে প্রতিফলিত করতে হবে এবং অন্যদেরও তা করতে উৎসাহিত করতে হবে।

বাংলাদেশ ও বিশ্বের অন্যত্র বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের সঙ্গে প্রাচীন বৌদ্ধ বিহার মিশে আছে, যার মধ্যে রয়েছে বহু ১ হাজার বছরের পুরনো বৌদ্ধ বিহার।’

তিনি সবাইকে সৎ ও সুন্দর জীবনযাপন, ভালো কাজ করতে এবং দেশের যোগ্য নাগরিক হতে উদ্বুদ্ধ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা বিকাল ৪টা থেকে প্রায় এক ঘণ্টা বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতারাও রাষ্ট্রপতিকে শুভেচ্ছা জানান।

এসময় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান, সংঘরাজ (বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা) ড. জ্ঞানশ্রী মহাথেরো এবং রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন।