সকল সংস্থাকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে উন্নত ঢাকা গড়ে তুলতে একসাথে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
সোমবার দুপুরে নগর ভবনের মেয়র হানিফ অডিটোরিয়ামে ঢাকা মহানগর সমন্বিত মহাপরকিল্পনা (২০২০-২০৫০) প্রণয়ন র্শীষক প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সাথে মতবিনিময় ও র্কমশালায় ডিএসসিসি মেয়র এ কথা বলেন।
মেয়র তাপস বলেন, এরই মাঝে বিভিন্ন সংস্থা বিশেষ করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, ওয়াসা, বিটিসিএলসহ অন্যান্য সংস্থা যে সকল পরিকল্পনা নিয়েছে, সেগুলোকে সমন্বয় করে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। একটি উন্নত দেশের উন্নত রাজধানী হিসেবে ঢাকাকে গড়ে তুলতে আমরা যে স্বপ্ন দেখি, সেই স্বপ্ন পূরণে সকলে সমন্বিতভাবে এগিয়ে যেতে চাই। আমাদের লক্ষ্য, ৩০ বছর মেয়াদী একটা রূপরেখা প্রণয়ন করা। যে সকল মহাপরিকল্পনা এরই মাঝে গ্রহণ করা হয়েছে, সেগুলোকে সমন্বয় করে এবং সেই রূপরেখার আওতায় আমরা পথ চলব। একসাথে, ঐক্যবদ্ধ হয়ে।
এই সমন্বিত মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে কারো সাথে কোন সংঘর্ষ নেই জানিয়ে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, সকলের সাথে সমন্বয় করে আমরা এগিয়ে যাবো। আমাদের সকলেরই অভীষ্ট লক্ষ্য একটি। সেটি হলো - জনকল্যাণমূলক কাজ করা, জনগণকে সেবা দেয়া এবং ঢাকাকে একটি বাসযোগ্য আধুনিক নগরীতে রূপান্তর করা।
আরও পড়ুন: এডিস নিয়ন্ত্রণে ডিএসসিসির অভিযানে ৫ লক্ষাধিক টাকা জরিমানা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার যে রূপকল্প দিয়েছেন তার আলোকে উন্নত রাজধানী হিসেবে ঢাকাকে গড়ে তুলতেই এই সমন্বিত মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হচ্ছে জানিয়ে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, আমরা এখন বিশ্বাস করি যে ২০৪১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব এবং সেই লক্ষ্যে কাজগুলো এগিয়ে চলেছে। কিন্তু আমরা যখন ঢাকা শহরের দিকে তাকায়, তখন আমরা লক্ষ্য করি সেই তুলনায়, সেই গতিতে ঢাকা শহর এগিয়ে যেতে পারেনি।
শেখ তাপস বলেন, আপনাদের সুচিন্তিত প্রাথমিক মতামত এসেছে। সেটি অত্যন্ত জ্ঞান-গর্ভ, আমাদেরকে অনেক সমৃদ্ধ করেছে। ভবিষ্যতে আমরা প্রত্যেকটি সংস্থার সাথে আলাদা আলাদাভাবে বসব। একটি আধুনিক শহরের অনেকগুলো উপাদান আছে। সেগুলো হয়তো আজকে উপস্থাপন করা হয়নি কিংবা আলোচনায় আসেনি। কিন্তু তারপরও সে সকল উপাদান সমন্বিত মহাপরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত হবে। পর্যায়ক্রমে আমরা প্রত্যেকটি বিষয় নিয়ে সুচারুরূপে আলাপ করব।
ডিএসসিসি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে রাজউক চেয়ারম্যান এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক খন্দকার রাশিদুর রহমান, বিটিসিএল মহাপরিচালক ড. রফিকুল মতিয়া, ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ট্রাফিক) সৈয়দ নুরুল ইসলামসহ বিআইডব্লিউটিএ, বাংলাদশে রেলওয়ে, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ১ এপ্রিল থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার নির্দেশ
ডিএসসিসি’র ৩ কাউন্সিলর প্যানেল মেয়র নির্বাচিত