প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রাষ্ট্র পরিচালিত ট্রেডিং করপোরেশনের মাধ্যমে সম্প্রতি ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রির কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম উল্লেখযোগ্যহারে কমেছে।
বুধবার সংসদে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্বে ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহমেদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাস মহামারিজনিত অর্থনৈতিক মন্দার কারণে সারা বিশ্বে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম উল্লেখযোগ্যহারে বেড়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ জ্বালানির দামও বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে বিশ্ববাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামও বেড়েছে।
আরও পড়ুন: পানি সংরক্ষণে সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করুন: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এবং দাম নিয়ন্ত্রণে ও সহনীয় পর্যায়ে রাখতে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিয়েছে। সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম এখন সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে।
পবিত্র রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম সহনীয় ও সাশ্রয়ী পর্যায়ে থাকবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১ মার্চ ১৭০ টাকায় বিক্রি হওয়া এক লিটারের সয়াবিন তেল ৫ এপ্রিল পাওয়া যাচ্ছে ১৬১ টাকা ৫০ পয়সায়।
তিনি বলেন, এ সময় খুচরা সয়াবিন তেলের দাম লিটার প্রতি ১৭৫ টাকা থেকে কমে ১৫৫ টাকা এবং পাম তেলের দাম ১৫৮ টাকা থেকে কমে ১৪২ টাকায় নেমে আসে। কিন্তু টিসিবি এই সময়ে বোতলজাত সয়াবিন প্রতি লিটার ১১০ টাকায় বিক্রি করেছে।
আরও পড়ুন: মানুষ যেন সরকারি সেবা থেকে বঞ্চিত না হয়: প্রধানমন্ত্রী
সংসদে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মসুর ডালের দাম ৫ এপ্রিল ১২০ টাকা থেকে কমে ১১২ টাকায় নেমে এসেছে, যেখানে টিসিবি বিক্রি করছে প্রতি কেজি ৬৫ টাকা।
খুচরা চিনি ১ মার্চ প্রতি কেজি ছিল ৮৫ টাকা যেখানে ৫ এপ্রিল ৭৮ টাকা। টিসিবি প্রতি কেজি ৫৫ টাকা দরে বিক্রি করছে।
শেখ হাসিনা বলেন, যেখানে ১ মার্চ প্রতি কেজি ছোলার দাম ছিল৭৭ টাকা, ৫ এপ্রিল তা বিক্রি হচ্ছে ৭২ টাকা ৫০ পয়সায়। টিসিবি প্রতি কেজি বিক্রি করছে ৫০ টাকায়।
পেঁয়াজের দাম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ১ মার্চ প্রতি কেজি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল, ৫ এপ্রিল দাম কমে হয়েছে ৩১ টাকা ৫০ টাকা। টিসিবি প্রতি কেজি বিক্রি করছে ২০ টাকায়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করার অঙ্গীকার প্রধানমন্ত্রীর