মিয়ানমারের জনগণের বিরুদ্ধে সহিংস অভিযান বন্ধ করতে সেনাবাহিনীর ওপর চাপ বাড়াতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট।
তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবিলম্বে বেসামরিক শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং নিরাপত্তা বাহিনীর দ্বারা সংঘটিত লঙ্ঘনের জন্য জবাবদিহিতার জন্য জোর দেয়ার আহ্বান জানান।
বৃহস্পতিবার জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে ব্যাচেলেট বলেন, ‘আমরা সেখানে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন নথিভুক্ত করছি, যার মধ্যে রয়েছে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন এবং বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে আক্রমণ যা মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং যুদ্ধাপরাধের সমান হতে পারে।’
মিয়ানমার সেনাবাহিনী ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট দেশটির রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ধ্বংসাত্মক আক্রমণ পরিচালনা করে। এরপর প্রায় সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা নারী, শিশু এবং পুরুষ মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়। বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) বাংলাদেশে আসার পাঁচ বছর পূর্তি পালিত হয়েছে।
মিশেল ব্যাচেলেট বলেন, গ্রাম ও আবাসিক এলাকায় বিমান হামলা ও কামানের ব্যবহার তীব্র হয়েছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান বলেন, ‘সম্প্রতি রাখাইন রাজ্যে সহিংসতার বৃদ্ধি ইঙ্গিত করে যে, দেশের শেষ মোটামুটি স্থিতিশীল এলাকায় সশস্ত্র সংঘাত চলছে।’
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী প্রায়ই তাতমাদও এবং আরাকান আর্মির যোদ্ধাদের মধ্যে ধরা পড়েছে বা সরাসরি অভিযানে তাদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।
পড়ুন: যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা: মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের সমর্থনে আইনি পদক্ষেপ