বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাবেক সদস্য, ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (২৮ আগস্ট) এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী মতিউর রহমানের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, মতিউর রহমান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন নিবেদিতপ্রাণ নেতা ছিলেন।
তিনি বলেন, অগণিত প্রলোভন এবং বারবার কারাভোগকে উপেক্ষা করে মতিউর রহমান তার সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ এবং আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে অটল থেকেছিলেন।
আরও পড়ুন: পান্না কায়সারের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
শেখ হাসিনা বলেন, তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দেওয়া মতিউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের সময় একজন প্রশিক্ষক ও মুক্তিযোদ্ধাদের সফল সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য তিনি ২০২২ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন।
তিনি আরও বলেন, অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের মৃত্যু দলের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি এবং তার মৃত্যুতে আমি একজন বিশ্বস্ত রাজনৈতিক সহচরকে হারালাম।
ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা ও সাবেক ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান রবিবার (২৭ আগস্ট) ময়মনসিংহের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১১টায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।
তার ছেলে মুহিত-উর-রহমান শান্ত ইউএনবিকে জানান, সোমবার (২৮ আগস্ট) বাদ আসর ময়মনসিংহ নগরীর আঞ্জুমান ঈদগাহ ময়দানে মতিউর রহমানের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: পদার্থবিজ্ঞানী বিকিরণ প্রসাদ বড়ুয়ার মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
তিনি জানান, তার দুই বোন অস্ট্রেলিয়ায় থাকেন। তারা দেশে আসছেন। তারা পৌঁছানোর পর আগামীকাল (মঙ্গলবার) দ্বিতীয় নামাজে জানাজা শেষে তার বাবাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
১৯৪২ সালে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার আকুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণকারী মতিউর রহমান মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এছাড়া, তিনি জামালপুরের নান্দিনা কলেজ এবং পরে ময়মনসিংহের নাসিরাবাদ কলেজে অধ্যাপনা করেন।
তিনি ১৯৮৬ ও ২০০৮ সালে ময়মনসিংহ-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে তিনি ধর্মবিষয়ক মন্ত্রী নিযুক্ত হন।
তার মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
তিনি ১৯৬৯ সালে আলমগীর মনসুর মিন্টু মেমোরিয়াল কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন এবং ২০০২ সাল পর্যন্ত এর অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
আরও পড়ুন: বীর উত্তম সুলতান মাহমুদের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক