ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমামের আদালতে মার্কেটের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন এই মামলা করেন।
আদালতের পেশকার মো. আতিকুর রহমান জানান, বিচারক বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে পরে আদেশ দেবেন।
আরও পড়ুন: আ’লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য হলেন খোকন
মামলার অপর ছয় আসামি হলেন- ঢাকার দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ইউসুফ আলী সরদার, সাবেক উপসহকারী প্রকৌশলী মাজেদ, কামরুল হাসান, হেলেনা আক্তার, আতিকুর রহমান ও ওয়ালিদ।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরশনের মালিকানাধীন ওই মার্কেটটির তিনটি ব্লকে নকশাবহির্ভূত ৯১১টি দোকান ছিল। এসব দোকান উচ্ছেদে গত ৮ ডিসেম্বর অভিযান শুরু করেন ডিএসসিসির কর্মকর্তারা। ওই দিন কয়েক দফায় দোকান মালিক ও কর্মচারীদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর শুরু হয় উচ্ছেদ অভিযান। অভিযানে প্রায় ৩০০ দোকান উচ্ছেদ করা হয়।
মামলার আরজিতে বলা হয়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনসহ অন্য আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ফুলবাড়িয়া সিটি সুপার মার্কেটে নকশাবহির্ভূত স্থাপনা তৈরি করে দোকান বরাদ্দ দেয়ার ঘোষণা দেন। পরে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে যোগাযোগ করলে তৎকালীন মেয়র অন্য আসামিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে দোকান বরাদ্দ নেয়ার কথা বলেন।
নতুন মেয়রকে সহযোগিতা করার কথা বললেন খোকন
এরপর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা আসামি কামরুল হাসান, হেলেনা আক্তার ও আতিকুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। মেয়র সাঈদ খোকনসহ অন্য আসামিরা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সঙ্গে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
যদিও ক্ষতিগ্রস্ত দোকানিরা সেদিন অভিযোগ করেন, সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের সময় (এক বছর আগে) নকশাবহির্ভূত এসব দোকান বৈধ করতে কয়েক কোটি টাকা দিয়েছেন তারা। দোকানগুলো থেকে ডিএসসিসি এতদিন ভাড়াও নিয়েছে।
তারা আরও অভিযোগ করেন, দোকান মালিক সমিতির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দেলু প্রায় দুই যুগ ধরে ওই তিনটি প্লাজা বা মার্কেট এককভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছেন। তার নেতৃত্বেই অবৈধ এসব দোকান তৈরি করা হয়েছিল।
মেয়র সাঈদ খোকনের এপিএসকে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ
সেই দোকান মালিক সভাপতি দেলুই এবার দোকান বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগ তুলে সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনসহ সাত জনের বিরুদ্ধে মামলা করলেন