ইউনিসেফ বাংলাদেশে দ্রুত সার্বজনীন জন্ম নিবন্ধন নিশ্চিত করায় রেজিস্ট্রার জেনারেল, স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং স্বাস্থ্য সেবা অধিদপ্তরের মধ্যে সই হওয়া সমঝোতা স্মারকের প্রশংসা করেছে।
রবিবার জাতিসংঘের এই সংস্থাটি বলেছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অগ্রগতি সত্ত্বেও, বাংলাদেশে পাঁচ বছরের কম বয়সী মাত্র ৫৬ শতাংশ শিশুর সরকারি জন্ম নিবন্ধনপত্র রয়েছে।
এর মানে হল প্রায় দুই সন্তানের মধ্যে একজনের জন্ম নিবন্ধন নেই।
অন্যদিকে, বাংলাদেশে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের নিয়মিত টিকাদানের হার ৯০ শতাংশের বেশি।
আরও পড়ুন: ৩৪৫ শিশুর মুক্তিতে বাংলাদেশের প্রশংসা ইউনিসেফ’র
রবিবার সই হওয়া চুক্তিটি একটি সমন্বিত পদ্ধতির পথ প্রশস্ত করে, যেখানে স্বয়ংক্রিয়ভাবে শিশুদের জন্ম নিবন্ধন হবে। যদি তারা জন্মের সময় নিবন্ধিত না-ও হয়, তাদের নিয়মিত প্রথম টিকা দেয়ার সময় নিবন্ধিত করা হবে।
বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেছেন, ‘জন্মের সময় নিবন্ধন প্রতিটি শিশুর মৌলিক অধিকার। এই অপরিহার্য ও সামগ্রিক উদ্যোগ নেয়ার জন্য আমি বাংলাদেশ সরকারকে সাধুবাদ জানাই। এই পদক্ষেপটি একবার বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের কয়েক লাখ শিশু উপকৃত হবে।’
তিনি বলেন, জন্ম নিবন্ধন শিশুর জাতীয়তা, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষাসহ অন্যান্য সমস্ত অধিকার দাবি করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
বর্তমানে বাংলাদেশে জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে নিবন্ধন বিনামূল্যে ও বাধ্যতামূলক।
তবে, অনেক বাবা-মা তাদের সন্তানের জন্ম নিবন্ধনের প্রক্রিয়ার সঙ্গে পরিচিত নয়।
স্থানীয় সরকার বিভাগের রেজিস্ট্রার জেনারেল (অতিরিক্ত সচিব) মো. রাশিদুল হাসান বলেন, ‘জন্ম একজন ব্যক্তির জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। আজ সই হওয়া এই সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধনের প্রক্রিয়া আরও দ্রুত, সহজ ও নির্ভুল করা হবে। এটি শিশু অধিকার রক্ষার পাশাপাশি পরিচয় নির্বিশেষে প্রত্যেক ব্যক্তির জন্ম নিবন্ধন নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’
ইউনিসেফের প্রযুক্তিগত সহায়তায়, ২০৩০ সালের মধ্যে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের সার্বজনীন জন্ম নিবন্ধনের লক্ষ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে জন্ম নিবন্ধন এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ডেটাবেসের একীকরণ বাস্তবায়ন করা হবে।
ইউনিসেফ ২০০১ সাল থেকে ২০১০ সালে অনলাইন জন্ম নিবন্ধনের মাধ্যমে বাংলাদেশে জন্ম নিবন্ধন পরিষেবার উন্নতির জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের উদ্যোগকে সমর্থন করেছে।
আরও পড়ুন: শিক্ষা ক্ষেত্রে বিপর্যয় এড়াতে স্কুল খোলা রাখুন: ইউনিসেফ