সালমান এফ রহমানকে রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) থেকে ৩০ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার অভিযোগ ওঠার পর পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের চার কর্মকর্তা।
সোমবার (১২ আগস্ট) আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে (এফআইডি) পদত্যাগপত্র জমা দেন তারা।
অভিযুক্ত কর্মকর্তারা হলেন- ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমান ও খুরশিদ আলম, পলিসি অ্যাডভাইজার আবু ফারাহ মো. নাসের ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান মাসুদ বিশ্বাস।
সোমবার দুপুর ১টার মধ্যে এই কর্মকর্তাদের পদত্যাগের আল্টিমেটাম দেন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী আন্দোলনের সমন্বয়ক মহিউদ্দিন রনি।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, গত ৪ আগস্ট ইডিএফের ত্রিশ মিলিয়ন ডলার অবৈধভাবে ঋণ দেওয়ার সঙ্গে শীর্ষ কর্মকর্তারা জড়িত, তাই যত দ্রুত সম্ভব তাদের পদত্যাগ করতে হবে।
এই আল্টিমেটামের পর এফআইডি সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন ওই চার কর্মকর্তা।
দুই ডেপুটি গভর্নর ও বিএফআইইউ প্রধান এফআইডি সচিবের কাছে এবং পলিসি অ্যাডভাইজার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন।
শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ক মহিউদ্দিন অভিযোগ করেন, গত ৪ আগস্ট ইডিএফ তহবিল থেকে তিন মিলিয়ন ডলার আত্মসাৎ করেন বেক্সিমকো গ্রুপের মালিক সালমান এফ রহমান।
তিনি আরও বলেন, ‘তাদের সহযোগীরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দায়িত্বে থাকলে রাষ্ট্রের টাকা আবার লুট হয়ে যাবে। টাকা পেলে তারা অস্ত্র কিনে ছাত্র-জনতাকে হত্যা করবে। দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলবে।’