শুক্রবার রাতে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া অন্য পুলিশ সদস্যরা হলেন- উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দদুলাল রক্ষিত, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) লিটন মিয়া, পুলিশ কনস্টেবল সাফানুর রহমান, কামাল হোসেন ও আবদুল্লাহ আল মামুন।
ওসি প্রদীপ, পরিদর্শক লিয়াকত ও এসআই নন্দদুলাল রক্ষিতকে সাত দিনের রিমান্ডে রেখে বাকিদের বৃহস্পতিবার আদালতের নির্দেশে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
তারা সবাই সিনহা হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত।
গত ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফের বাহারছড়া শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সিনহা।
এ ঘটনায় ৫ জুলাই টেকনাফ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ’র আদালতে প্রদীপ ও লিয়াকতসহ নয়জনকে অভিযুক্ত করে হত্যা মামলা দায়ের করেন সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে টেকনাফ থানার ওসিকে তা এফআইআর হিসাবে রুজু এবং র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র্যাব-১৫) তদন্তের নির্দেশ দেয়।
আদালত সূত্র জানায়, আদালতের আদেশ মতে দায়ের করা মামলাটি ৫ জুলাই রাতেই টেকনাফ মডেল থানায় নিয়মিত হত্যা মামলা হিসেবে রুজু করা হয়। মামলা নম্বর সিআর: ৯৪/২০২০ ইংরেজি (টেকনাফ)।
এ মামলায় সাবেক মেজর সিনহার সঙ্গী ও ৩১ জুলাইয়ের ঘটনায় টেকনাফ পুলিশের দায়ের করা মামলার আসামি সাহেদুল ইসলাম সিফাতসহ ১০ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।