সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশের সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরীফ ও আশপাশের গ্রামসহ জেলার প্রায় ৪০ গ্রামে সোমবার (১১ মার্চ) থেকে রোজা শুরু হয়েছে।
রবিবার(১০ মার্চ) সাদ্রা দরবার শরীফের পীরজাদা ড. বাকীবিল্লাহ মিশকাত চৌধুরীসহ বিভিন্ন সূত্র ইউএনবিকে জানায়, এসব এলাকার মুসল্লিরা তারাবিহর নামাজও আদায় করেছেন এবং ভোরে সেহরী খাবেন।
পরে রাতে সৌদি আরবে চাঁদ দেখার খবরটি নিশ্চিত হওয়ার পর এসব তথ্য নিশ্চিত করেন এ দরবার শরীফের পীরজাদা ও অনুসারীরা।
সাদ্রা দরবার শরীফের পীরজাদা ড. বাকীবিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী জানান, তাদের মসজিদে পবিত্র রমজান মাসের তারাবিহ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রাতে সেহরি খাবেন এবং সোমবার (১১ মার্চ) থেকে প্রথম রোজা শুরু হবে।
আরও পড়ুন: রোজায় সুস্থ থাকার ৫টি উপায়
তিনি আরও জানান, আগাম রোজা ও দুই ঈদ পালনের প্রবর্তক তার মরহুম দাদা মাওলানা ইসহাক (রহ.)।
১৯২৮ সাল থেকে সাদ্রা দরবার শরীফের পীর মওলানা ইসহাক সৌদি আরবসহ আরব দেশসমূহে চাঁদ দেখা গেলে তাদের সঙ্গে মিল রেখে রোজাপালন , ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপনের নিয়ম চালু করেন।
তিনি আরও জানান, সৌদি আরবে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখার খবর পেয়েছি। আমরা নিজেরাও খোঁজ-খবর নিয়ে নিশ্চিত হয়েছি। ইনশাআল্লাহ সোমবার থেকে আমাদের গ্রামসহ ৪০ গ্রামে রোজা শুরু হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রোজায় কমল স্কুল-কলেজ খোলা রাখার সময়
রাত ১০টায় হাজীগঞ্জ পৌরসভার বলাখাল মহরম আলী ওয়ার্কফ এস্টেট জামে মসজিদের মুসল্লি ও সাবেক কাউন্সিলর মো. হাবিব উল্লাহ জানান, তাদের মসজিদে পবিত্র রমজান মাসের তারাবিহ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাতে সেহরিও খাবেন এবং সোমবার (১১ মার্চ) থেকে প্রথম রোজা শুরু হবে।
এছাড়া হাজীগঞ্জ উপজেলার সমেশপুর, অলিপুর, বলাখাল, মনিহার, প্রতাপুর, বাসারা, ফরিদগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপুর, কামতা, গল্লাক, ভোলাচোঁ, সোনাচোঁ, উভারামপুর, উটতলি, মুন্সিরহাট, কাইতাড়া, মূলপাড়া, বদরপুর, আইটপাড়া, সুরঙ্গচাইল, বালিথুবা, পাইকপাড়া, নূরপুর, সাচনমেঘ, শোল্লা, হাঁসা, গোবিন্দপুর, গ্রামে রোজা শুরু হয়েছে। এছাড়া মতলব উত্তর উপজেলার দশানী, মোহনপুর, পাঁচানী , ছটাকীএবং কচুয়া ও শাহরাস্তি উপজেলার কয়েকটি গ্রামের সহস্র বাসিন্দারা একইভাবে আগাম রোজা পালন ও দুই ঈদ উদযাপন করে আসছেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে রোজা শুরু