রবিবার সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদের সাথে ফোনে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ অনুরোধ করেন।
আরও পড়ুন:চতুর্থ দিনের মতো টিকিট বিক্রি করছে সৌদি এয়ারলাইন্স
এ সময় ড. মোমেন আকামার মেয়াদ বৃদ্ধি ও ভিসা প্রদানে সৌদি আরবের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট চলাচলে অনুমতি দেয়ায় সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে তিনি ধন্যবাদ জানান।
একই সাথে দাম্মাম রুটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট চলাচলের অনুমতি দেয়ার জন্য সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান আব্দুল মোমেন।
বর্তমানে রিয়াদ, মদিনা ও জেদ্দায় বাংলাদেশ বিমান চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
সৌদি সরকার প্রবাসী শ্রমিকদের তাদের কর্মস্থলে ফিরে যাওয়ার বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা সমাধানে গত বুধবার ইতিবাচকভাবে সাড়া দেয়। শনিবার ভোরে সৌদি এয়ারলাইন্সের প্রথম ফ্লাইট এসভি-৮০২ করে তিন শতাধিক যাত্রীর প্রথম দল দেশটির উদ্দেশে ঢাকা ছেড়ে যায়।
এদিকে, প্রবাসী বাংলাদেশিদের সৌদি আরবে তাদের নিজ নিজ কর্মস্থলে ফিরে যেতে সহায়তা করার জন্য রবিবার টানা চতুর্থদিনের মতো টিকিট বিক্রি অব্যাহত রেখেছে সৌদি এয়ারলাইন্স।
ইতোমধ্যে যারা টোকেন পেয়েছেন সকাল থেকেই তারা টিকিট সংগ্রহ করছেন।
সৌদি আরবে ফেরার টিকিটের জন্য অভিবাসী শ্রমিকরা ঢাকায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করার একদিন পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বাংলাদেশি প্রবাসীদের জন্য টিকিট প্রদান শুরু করে সৌদি এয়ারলাইন্স।
তারা রিটার্ন টিকিট নিয়ে দেশে ফিরলেও করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে বিমানের ফ্লাইটের অভাবে সৌদি ফিরতে পারেননি।
এর প্রেক্ষিতে ভিসা ও আকামার মেয়াদ বৃদ্ধি এবং সৌদি আরবে ফেরতের টিকিটের ব্যবস্থা করার দাবিতে ইস্কাটনে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন অভিবাসী শ্রমিকরা।
গত বুধবার সন্ধ্যায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন জানান, বিমান ও সৌদি উভয় এয়ারলাইন্সই ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি পাওয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশিরা তাদের কর্মস্থলে ফিরে যেতে পারবেন।
তিনি বলেন, সৌদি সরকার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স অবতরণের অনুমতি দিয়েছে যা সুষ্ঠুভাবে বাংলাদেশিদের সৌদি যেতে সহায়তা করবে।
বাংলাদেশ সরকারও সৌদির সকল এয়ারলাইন্সকে অবতরণের এবং বাংলাদেশিদের সৌদিতে ফেরত নেয়ার অনুমতি দিয়েছে, বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ড. মোমেন বলেন, যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, যারা তাদের কর্মস্থলে ফিরতে চান, সৌদি সরকার তাদের ভিসার মেয়াদ বাড়াতে সম্মত হয়েছে।
‘কয়েকজনের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়েছে, এমন না যে সবার ভিসার মেয়াদ শেষ,’ বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়েছে, তাদের ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর প্রক্রিয়া রবিবার থেকে শুরু হবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের শ্রমিকদের আকামা আরও ২৪ দিন বৈধ থাকবে এবং প্রয়োজনে আরও বাড়ানো হবে।
‘দূতাবাস আকামা দেয় না। নিয়োগকর্তা দেয়,’ বলেন ড. মোমেন।
এর আগে দেশে আটকা পড়াদের জন্য মোট তিন দফায় বাংলাদেশিদের আকামার মেয়াদ বাড়িয়েছে সৌদি সরকার।
আকামার সর্বশেষ বর্ধিত মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৩০ সেপ্টেম্বর। এমন পরিস্থিতিতে ৩০ সেপ্টেম্বরের পর আকামার মেয়াদ আরও তিন মাস বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়ে সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে একটি চিঠি পাঠায় দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাস।