প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী তাদের ৫ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তাও দিয়েছেন।
তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার তার কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ৫ লাখ টাকার অনুদান নঈম গওহরের উত্তরার বাসায় তার অসুস্থ স্ত্রী রিজিয়া গওহরের কাছে পাঠিয়েছেন।
প্রেস সচিব জানান, প্রধানমন্ত্রী ২০১৬ সালে নঈম গওহরের পরিবারকে ২৫ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা দিয়েছিলেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তাদের একটি প্লট বা ফ্ল্যাট দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, ‘তবে বিভিন্ন জটিলতার কারণে নঈম গওহরের পরিবার এখনও প্লট বা ফ্ল্যাটটি পায়নি। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর নজরে আসলে তিনি সাথে সাথে নঈম গওহরের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা সহায়তা পাঠান।’
প্রধানমন্ত্রী একই সাথে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে নঈম গওহরের পরিবারকে একটি প্লট বা ফ্ল্যাট হস্তান্তর করার নির্দেশ দিয়েছেন।
আবারও তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য গওহরের কন্যা অভিনেতা ইলোরা গওহর প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, তার ৭৬ বছর বয়সী মা ক্যান্সার এবং পার্কিনসন রোগে ভুগে এখন বিছানায় পড়ে আছেন।
বার্ধক্যজনিত জটিলতায় ৯৩ বছর বয়সে ২০১৫ সালের ৭ অক্টোবর নঈম গওহর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে তখন তাকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়েছিল।
এর আগে, ২০০০ সালে প্রধানমন্ত্রীর সার্বিক সহযোগিতায় তার একটি ওপেন হার্ট সার্জারি করা হয়েছিল।
মুক্তিযুদ্ধের অসামান্য অবদানের জন্য নঈম গওহরকে দেশের সর্বোচ্চ জাতীয় পুরস্কার ‘স্বাধীনতা পুরস্কার-২০১২’ প্রদান করা হয়েছিল।
তিনি অসংখ্য দেশাত্মবোধক গান লিখেছিলেন। যা মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীনতাপ্রেমী মানুষের অনেক সাহস জোগিয়েছিল।