শুক্রবার তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় গুলশান থানায় দায়ের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়। অপর দিকে তার আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম আশেক ইমাম রন হক সিকদারের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: জামিন পাননি রন ও দিপু সিকদার, গুনলেন জরিমানা
আরও পড়ুন: ‘চিরঞ্জীব মুজিব’ চলচ্চিত্র স্পন্সর করছে সিকদার গ্রুপ
এর আগে, আজ সকালে রাজধানীর বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিবি গুলশান বিভাগের ডিসি মশিউর রহমান জানান, সকাল সোয়া ১০টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রন হক সিকদারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
দুবাই থেকে ঢাকায় অবতরণের পরপরই গ্রেপ্তার হন তিনি। তাকে গুলশান থানায় এক্সিম ব্যাংকের দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
গত ১৯ মে এক্সিম ব্যাংকের এমডিসহ দুজনকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে এক্সিম ব্যাংক কর্তৃপক্ষ গুলশান থানায় রন হক সিকার ও তার ভাই দিপু হক সিকদারের বিরুদ্ধে মামলা করে।
মামলার বিবরণীতে বলা হয়েছে, গত ৭ মে রন ও দিপু এক্সিম ব্যাংকের এমডি মুহাম্মদ হায়দার আলী মিয়া ও অতিরিক্ত এমডি মুহাম্মদ ফিরোজ হোসেনকে একটি অ্যাপার্টমেন্টে বন্দি করে রাখেন। তাদের গুলি করে হত্যার চেষ্টাও করা হয়।
বিবরণে আরও উল্লেখ করা হয়, পুরো ঘটনাটি ৫০০ কোটি টাকা ঋণ প্রস্তাব নিয়ে। এই ঋণের বিপরীতে বন্ধকি সম্পত্তি পরিদর্শনের নামে এক্সিম ব্যাংকের দুই কর্মকর্তাকে ডেকে আনা হয়েছিল। এ সময় জামানত হিসেবে ওই সম্পত্তির বন্ধকি মূল্য কম উল্লেখ করেন ব্যাংকটির এমডি ও অতিরিক্ত এমডি। এরপরই গুলি ও মারধরের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: পাপুলের স্ত্রী-মেয়ের জামিন আবেদনে নথি জালিয়াতি তদন্তের নির্দেশ
আরও পড়ুন: হত্যাচেষ্টা মামলায় ইরফান সেলিমকে কেন জামিন দেয়া হবে না: হাইকোর্ট
আরও পড়ুন: অর্থ আত্মসাতের মামলায় রাশেদ চিশতীর জামিন বহাল
রন হক সিকদার ও দিপু হক সিকদার ব্যাংকটির এমডির কাছে একটি সাদা কাগজে জোর করে স্বাক্ষরও নেন।
ঘটনার পর থেকে রন হক ও দিপু হক পলাতক হন। পরে নিজেদের চার্টার্ড বিমানে করে তারা থাইল্যান্ডে পাড়ি জমান।