শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরীর বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা গণমাধ্যমের অবাধ স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। হাইকোর্টের নির্দেশ পেলে আল জাজিরার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। হাইকোর্ট যদি এ দেশে এর সম্প্রচার বন্ধের আদেশ দেয়, সে ক্ষেত্রে হাইকোর্টের আদেশ আমাদের মানতে হবে।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা চাইলে আল জাজিরার সম্প্রচার আমাদের দেশে বন্ধ করতে পারতাম, অনেক দেশে বন্ধ করা হয়েছে এবং বন্ধ রয়েছে, এমনকি ভারতেও কিছুদিনের জন্য বন্ধ ছিল। এখনো কয়েকটি দেশে আল জাজিরার সম্প্রচার বন্ধ আছে। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার যেহেতু গণমাধ্যমের অবাধ স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে তাই আমরা সেই উদ্যোগ নিইনি।’
আরও পড়ুন: সমালোচনাকারীদের দিকে তাকিয়ে ভ্যাকসিন ভেংচি কেটেছে: তথ্যমন্ত্রী
দেশবিরোধী অপপ্রচার করছে একটি চিহ্নিত চক্র: তথ্যমন্ত্রী
‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা যেমন দরকার, দায়িত্বশীলতারও প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতা মানে এই নয় যে ভুল, মিথ্যা, পক্ষপাতদুষ্ট, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও অপরের স্বাধীনতা হরণকারী সংবাদ পরিবেশন করা। এটি কোনোভাবেই সমীচিন নয়,’ বলেন তথ্যমন্ত্রী।
বাংলাদেশ নিয়ে করা প্রতিবেদনটি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আল জাজিরার মিথ্যা-বানোয়াট রিপোর্টে কিছু কাট-পেস্ট করে প্রকাশ করা হয়েছে, ব্যক্তিগত আক্রোশের বশবর্তী হয়ে প্রকাশ করা হয়েছে।’
করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে বিএনপি নেতাদের অবস্থান সম্পর্কে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি নেতারা করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে অনেক অপপ্রচার চালিয়েছেন। তারা প্রথমে বলেছেন, সরকার ভ্যাকসিন সময়মতো আনতে পারবে না, যখন সময়মতো চলে এলো, তখন বললেন, এটি নিলে কোনো কাজ হবে না। এই ভ্যাকসিন দিয়ে বিএনপি নেতাদের মেরে ফেলতে চাচ্ছেন- এ ধরনের কথাও বলেছেন তারা। তবে নানা ধরনের প্রশ্ন তুলে, দায়িত্বহীন অনেক কথা বলে শেষ পর্যন্ত বিএনপির অনেক নেতা করোনা ভ্যাকসিন নিয়েছেন এবং নেয়ার পক্ষে কথাও বলেছেন, সে জন্য তাদের সাধুবাদ জানাই। কথা আছে না ‘গাধা জল ঘোলা করে খায়’, করোনা ভ্যাকসিন নেয়ার ক্ষেত্রে বিএনপির ভূমিকাও সে রকমই ঘটেছে। আমরা চাই তারা ভ্যাকসিন নিয়ে সুস্থ ও সবল থাকুক।'
আরও পড়ুন: টিআরপি নির্ধারণে কারিগরি সহায়তা দিতে প্রস্তুত বিএসসিএল: তথ্যমন্ত্রী
পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশে দুর্নীতি বেশি, এটা পাগলেও বিশ্বাস করবে না: তথ্যমন্ত্রী
চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে বিএনপি সহিংস আচরণ করেছে: তথ্যমন্ত্রী
জিয়াউর রহমানের খেতাব প্রত্যাহার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় জিয়াউর রহমানের ভূমিকা আসলে কী ছিল সেটি নিয়ে নানা প্রশ্ন আছে। মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে তিনি প্রকৃতপক্ষে পাকিস্তানের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছিলেন। তার খেতাব বাতিলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তো হয়নি এখনো। এটা নিয়ে জামুকাতে আলোচনা হয়েছে মাত্র।’