রবিবার বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়।
আদালতে দুদকের পক্ষে রয়েছেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান, হাজি সেলিমের পক্ষে রয়েছেন আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা।
রাষ্ট্রপক্ষে রয়েছেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল তামান্না ফেরদৌস।
আরও পড়ুন: হাজী সেলিমের দুর্নীতির দণ্ডপ্রাপ্ত মামলায় আপিল পুন:শুনানি ১১ জানুয়ারি
খুরশীদ আলম খান বলেন, ‘আজকে ওই আপিলের ওপর পুনরায় শুনানি শুরু হয়েছে। শুরুতে মামলার এফআইআর উপস্থাপন করেছি। এখন রাষ্ট্রপক্ষ উপস্থাপন করছে।’
এর আগে, গত ১১ নভেম্বর এ মামলার বিচারিক আদালতে থাকা যাবতীয় নথি (এলসিআর) তলব করে উচ্চ আদালত। সে আদেশ অনুসারে নথি আসার পর আপিল শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়।
আরও পড়ুন: হাজী সেলিম ও তার ছেলের ‘অবৈধ সম্পদের’ তথ্য সংগ্রহ করছে দুদক
২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজি সেলিমের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা করে। এ মামলায় ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল তাকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেয় বিচারিক আদালত।
২০০৯ সালের ২৫ অক্টোবর এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন হাজি সেলিম। ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি হাইকোর্ট এক রায়ে তার সাজা বাতিল করে।
আরও পড়ুন: বুড়িগঙ্গা তীরে হাজী সেলিমের পেট্রল পাম্পসহ ২৬৫ স্থাপনা উচ্ছেদ
পরবর্তীতে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দুদক। ওই আপিলের শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টের রায় বাতিল করে পুনরায় হাইকোর্টে শুনানির নির্দেশ দেয় আপিল বিভাগ।
পরবর্তীতে চলতি বছরের ৯ নভেম্বর দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানিয়েছেন, ৮ নভেম্বর তিনি দুদক থেকে এ মামলা পরিচালনার জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন। পরদিন ৯ নভেম্বর মামলাটি শুনানির জন্য কার্যতালিকাভুক্ত করতে তিনি আদালতে আবেদন (মেনশন) করেন। এরপর আপিলটি কার্যতালিকাভুক্ত হওয়ার পর ১১ নভেম্বর নথি তলব করে হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান ও তার দেহরক্ষীর এক বছরের কারাদণ্ড