সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘ইভিএম ব্যবহার করে এ নির্বাচনে সবচেয়ে বড় অর্জন হচ্ছে এতে কোনো কেন্দ্রে শতকরা ১০০ ভাগ ভোট পড়েনি এবং নির্বাচনের আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভর্তি করার সুযোগ ছিল না।’
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটির ভোটগ্রহণ বিকাল ৪টায় শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর নির্বাচন কমিশনার এ বিবৃতি দেন।
‘এখন রাতে ব্যালট পেপারে বাক্স ভর্তি ও কেন্দ্রে শতভাগ ভোট পড়ার অপবাদ থেকে আমরা মুক্ত,’ যোগ করেন তিনি।
মাহবুব তালুকদার জানান, তিনি সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত মোট ১২টি কেন্দ্র পরিদর্শন করেন এবং এসব কেন্দ্রে সরকারি দল সমর্থিত মেয়রপ্রার্থী ছাড়া আর কোনো মেয়র প্রার্থীর এজেন্ট দেখতে পাননি।
সকাল ৮টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত এ কেন্দ্রগুলোতে প্রায় ১০ শতাংশ ভোট পড়ে, বলেন তিনি।
মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘আমি মগবাজারের ইস্পাহানী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ কেন্দ্রে বেলা সাড়ে ১১টায় ভোট দিয়েছি। কেন্দ্রের সাংবাদিকরা আমাকে জানান, সকালে বিরোধী দলের মেয়রের এজেন্ট ছিলেন, তাদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। সাংবাদিকদের এ অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের সুযোগ ছিল না। এছাড়া, আনারস প্রতীকের মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী আমাকে জানিয়েছেন, তার নির্বাচনী এজেন্টকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। আমি তাকে লিখিত অভিযোগ জানাতে বলেছি।’
নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচন খুবই শান্তিপূর্ণ হয়েছে এবং বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া কোনো মারামারি বা রক্তক্ষয় হয়নি।
তবে তিনি আরও বলেন, ভোটের মাঠে এক পক্ষ ব্যতীত অন্য পক্ষগুলোকে দেখা যায়নি। ‘ভোটের মাঠে অন্য পক্ষগুলোর অনুপস্থিতির কারণ আমার অজ্ঞাত।’
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের যে দৃশ্য দেখা গেছে তাতে নিজে মর্মাহত জানিয়ে মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘আচরণবিধি ভঙ্গের বিষয়ে ব্যবস্থা না নিলে আচরণবিধি থাকা না থাকায় কোনো পার্থক্য থাকে না।’