বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দুই বছরের মধ্যে এই প্রথমবারের মতো ৩৯.৭৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ৪০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নকে (এসিইউ) গত সপ্তাহে বাংলাদেশ ব্যাংকের ১.৯৯ বিলিয়ন ডলারের আমদানির অর্থ পরিশোধের অনুমোদন দেয়ার পর মঙ্গলবার রিজার্ভ কমে গেলো।
বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা এসিইউ এর সদস্য। এসব দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোকে প্রতি দুই মাস অন্তর অর্থ পরিশোধ করতে হয়।
আমদানি বিল বৃদ্ধি এবং অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স হ্রাসের কারণে গত কয়েক মাস ধরে রিজার্ভ চাপের মধ্যে রয়েছে।
গত বছরের ডিসেম্বরে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রেকর্ড পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৪৬দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলারে।
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাস পেয়েছে। কারণ ২০২১-২২ অর্থবছরে আমদানির পরিমাণ বেড়ে প্রায় ৭৮ বিলিয়ন ডলার হয়েছে, যেখানে রেমিট্যান্স এবং রপ্তানি থেকে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হয়েছে ৭৩ বিলিয়ন ডলার। ২২ অর্থবছরে রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ছিল ৫২ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার এবং অভ্যন্তরীণ রেমিটেন্স ২১ দশমিক তিন বিলিয়ন ডলার।
অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স ২১ অর্থবছরের ২৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার থেকে ২২ অর্থবছরে ২১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারে হ্রাস দেখায়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের (বিবি) নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ আমদানি পরিশোধ মেটাতে মার্কিন ডলার বিক্রি করছে।
তিনি বলেন, অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স হ্রাস এবং আমদানির চাহিদা বৃদ্ধি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাসের কারণ।
আরও পড়ুন: দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রেকর্ড ৩৭.১০ বিলিয়ন ডলার
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে