করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে চলমান বিধিনিষেধ ৫ আগস্টের পরও বহালের সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
শুক্রবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আমরা আরও দশ দিন আগেই মন্ত্রীসভার বৈঠকে বিধি নিষেধ বাড়ানোর সুপারিশ করেছি। যদিও এ ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি।
ডা. খুরশীদ আলম বলেন, যেভাবে সংক্রমণ বাড়ছে, আমরা কিভাবে এই সংক্রমণ সামাল দিব? রোগীদের কোথায় জায়গা দিব? সংক্রমণ যদি এভাবে বাড়তে থাকে তাহলে কি পরিস্থিতি সামাল দেয়া সম্ভব? অবস্থা খুবই খারাপ হবে এতে কোন সন্দেহ নেই। এসব বিবেচনাতেই আমরা লকডাউন বিধি নিষেধ বাড়ানোর সুপারিশ করেছি।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় প্রতিদিন ২শ’র ওপর মৃত্যু, একদিনে শনাক্ত ১৩, ৮৬২
খুরশীদ আলম বলেন, আমাদের এক কোটি বা তদূর্ধ্ব মানুষকে প্রতি মাসে টিকা দেয়ার চিন্তা আছে। কিছু টিকা আমাদের হাতে রয়েছে, বাকিগুলো পর্যায়ক্রমে আসবে। এর মধ্যেই আমরা আমাদের পরিকল্পনা প্রস্তুত করে রাখছি। তবে এই পরিকল্পনা ফিক্সড বা নির্ধারিত কিছুই না। যেকোনো সময়ই অবস্থার প্রেক্ষিতে পরিবর্তন হতে পারে।
স্বাস্থ্য মহাপরিচালক বলেন, ৭ আগস্ট থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকা প্রয়োগ শুরু করতে যাচ্ছি। এ লক্ষ্যে আমাদের প্রশিক্ষণ ও প্রস্তুতি চলছে। ইউনিয়ন পর্যায়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য অনলাইনের মাধ্যমে আমরা প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছি। আগামি ৬ আগস্ট স্বাস্থ্যমন্ত্রী একটি প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে বিস্তারিত বলবেন।
আরও পড়ুন: লকডাউন লঙ্ঘন: সপ্তম দিনে রাজধানীতে গ্রেপ্তার ৫৬৮
ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকা কার্যক্রমে বিশৃংখলা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বড় পরিসরের টিকা দিতে গেলে কিছুটা বিশৃঙ্খলা হতেই পারে। আমরা এক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে সহায়তা চেয়েছি। মন্ত্রী মেয়র ও উপজেলা চেয়ারম্যানসহ জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে একটি মিটিং করবেন। শুধু আইন প্রয়োগকারী বাহিনী দিয়েই আমরা এত বড় কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবো না। সবার সহযোগিতা লাগবে।
খুরশীদ আলম আরও বলেন, গ্রামপর্যায়ের তাপমাত্রায় যে টিকা রাখা যাবে, সেগুলোই আমরা দেব। বিশেষ করে সিনোফার্মের তিন কোটি টিকা গ্রামপর্যায়ে দেয়ার কথা ভাবছি।
আরও পড়ুন: কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে রাজধানীর রাস্তাঘাট ফাঁকা