৭৩ বছর বয়সে ইংল্যান্ডের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তৃতীয় মাস্টার্স ডিগ্রি (মাস্টার অব ল’জ) অর্জন করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আবদুল আউয়াল মিন্টু।
ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের কুইন মেরি কলেজ থেকে তিনি এই ডিগ্রি অর্জন করেন।
সোমবার ইউনিভার্সিটির বার্বিকান সেন্টারে গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে এলএলএম-এর সনদ গ্রহণ করেন ৭৩ বছর বয়সী এ শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: একাডেমিক ডিগ্রির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মান অর্জনের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
আবদুল আউয়াল মিন্টু ২০১৭ সালে ইউনিভার্সটি অব লন্ডনে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ল’র ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তি হন। এরপর মোট চারটি কোর্সে ৫৩, ৬১, ৬২ ও ৬৪ নম্বর পেয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।
এর আগেও এগ্রিকালচার অব ইকোনমিকস এবং মেরিন ট্রান্সপোর্টেশনে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেছেন তিনি।
১৯৪৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি জন্ম নেয়া আবদুল আউয়াল মিন্টু ফেনী সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৬৪ সালে এসএসসি ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে ১৯৬৬ সালে এইচএসসি পাস করেন।
মার্কেন্টাইল মেরিন একাডেমি চট্টগ্রাম থেকে ১৯৬৮ সালে ডিপ্লোমা করেন নৌবিজ্ঞানে।
নিউইয়র্ক স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে ১৯৭৩ সালে মেরিন ট্রান্সপোর্টেশন বিজ্ঞান বিএসসি ডিগ্রি ও ১৯৭৭ সালে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন।
কৃষি ব্যবসা শুরু করার পর ১৯৯৫ সালে সোয়াচ, ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে এগ্রিকালচার অব ইকোনমিকসে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন।
তিন সন্তানের জনক আবদুল আউয়াল একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী, মাল্টিমোড গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।
আবদুল আউয়াল মিন্টু কর্মজীবনে মেরিন একাডেমি থেকে জাহাজের ক্যাডেট হিসেবে যোগদান করেন। চাকরি করেন আমেরিকান জাহাজ কোম্পানিতে। ১৯৮১ সালে জাহাজ কোম্পানির চাকরি ছেড়ে দেশে ফিরে শুরু করেন শিপিং লাইনের ব্যবসা। আমেরিকান লাইনেই তিনি প্রথম পাঁচ-সাত বছর শিপিং ব্যবসা করেন।
এরপর দুলামিয়া কটন স্পিনিং মিল এবং প্রগতি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স প্রতিষ্ঠা করেন।
তিনি ১৯৮৩ সালে বেসরকারি ব্যাংক ন্যাশনাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে অন্যতম।
এরপর ১৯৯৫ সালে কৃষি সেক্টরে ব্যবসায় হাত দেন। দেশের অন্যতম শীর্ষ বেসরকারি বীজ কোম্পানি লাল তীর সিডের চেয়ারম্যান তিনি।
এই বয়সেও বাবার এমন কীর্তিতে অভিভূত ছেলে তাবিথ এম আউয়াল।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তাবিথ আউয়াল বলেন, ‘আমার বাবা আবদুল আউয়াল মিন্টু প্রতিনিয়ত তার কাজের মধ্য দিয়ে আমাদের অনুপ্রাণিত করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাজনীতি, সমাজসেবা, ব্যবসা-সবকিছু সামলে এখনও জ্ঞানচর্চার জায়গায় তার বিন্দুমাত্র ছাড় নেই। বরং প্রতিবছরই যেন আমাদের জন্য সফলতার নতুন নতুন মান নির্ধারণ করে দেন তিনি। আজ বাবাকে আবারও অভিনন্দন জানাই তার তৃতীয় মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জনের জন্য।’