জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে এক নারী কলারের ফোন কলে নারায়ণগঞ্জ থেকে নিখোঁজ তার কিশোরী ভাগ্নীকে চলন্ত বাস থেকে উদ্ধার ও অপহরণের অভিযোগে একজনকে আটক করেছে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার পুলিশ।
অপহরণের অভিযোগে আটক নারী বরগুনার কলাতলা গ্রামের ছবেদ আলীর স্ত্রী মাজেদা আক্তার (৪০)।
বুধবার ভোর সোয়া ৩টায় ৯৯৯ কলটেকার কনস্টেবল মো. সাজ্জাদুর রহমান একটি কল রিসিভ করেন। একজন নারী কলার নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থেকে ফোন করে জানান, তার ১৫ বছর বয়সী ভাগনি বাসা থেকে রাগ করে ২৬ তারিখ মঙ্গলবার দুপুরে বের হয়ে যায়। এরপর তারা অনেক খোঁজাখুঁজি করেন কিন্তু কোন সন্ধান পাননি। তার মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। কিছুক্ষণ পূর্বে তার ভাগনি তাদের কল করে জানায় যে, সে বর্তমানে একটি বাসে আছে বাসটি সকাল ৬টায় বরগুনা গিয়ে পৌঁছাবে। কলার অনুমান করছিলেন তার ভাগনি হয়তো কোন অপহরণ কারীর কবলে পড়েছে। এরপর তিনি তার ভাগনিকে উদ্ধারের ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানিয়ে ৯৯৯ এ ফোন করেন।
আরও পড়ুন: ৯৯৯ এ কল: শিশু ধর্ষণের অভিযোগে চাচাতো ভাই আটক
৯৯৯ কলটেকার সাজ্জাদুর রহমান ভুক্তভোগী কিশোরীর নম্বরে ফোন করেন কিন্তু তখন সে ঠিকমত কথা বলতে পারছিল না। এরপর এক অজ্ঞাত এক নারী ফোন নিয়ে কিছু অস্পষ্ট কথা বলে ফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। ৯৯৯ থেকে পুনরায় ভুক্তভোগীর নাম্বারের ফোন করে বাসের সুপারভাইজারকে ফোন দিতে বলা হয়, সুপারভাইজারের কাছ থেকে বাসের নাম্বার ও অবস্থান জানা যায়, একই সাথে ৯৯৯ তাকে অনুরোধ করে পুলিশ গিয়ে ভুক্তভোগী কিশোরীকে উদ্ধার করা পর্যন্ত তার দিকে নজর রাখার জন্য। সে অনুযায়ী ৯৯৯ ফরিদপুর জেলা পুলিশ নিয়ন্ত্রণ কক্ষে বিষয়টি জানিয়ে কিশোরীকে দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেয়।
পরে ভাঙ্গা থানার সাব ইন্সপেক্টর (উপপরিদর্শক) জয়ন্ত কুমার ৯৯৯ কে ফোন জানান, ভাঙ্গা থানাধীন পুকুরিয়া বাস স্ট্যান্ডের কাছে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী সোনার বাংলা পরিবহনের একটি বাস থামিয়ে ভুক্তভোগী কিশোরীকে উদ্ধার করা হয় ও তাকে অপহরণের অভিযোগে এক নারীকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: ৯৯৯ এ কল: কথিত ছিনতাইকারী দম্পতি আটক
ভুক্তভোগী কিশোরীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে বাসা থেকে বের হওয়ার পর অভিযুক্ত নারীর সাথে তার দেখা হয়, সে তার কাছে ভিক্ষা চাইলে ভুক্তভোগী কিশোরী তাকে ভিক্ষা দেয়। এরপর অভিযুক্ত নারী কিশোরীকে আদর করে চকলেট খেতে দেয়। চকলেট খেয়ে কিশোরী অজ্ঞান হয়ে যায়। জ্ঞান ফিরলে কিশোরী দেখতে পায় সে মিরপুর চিড়িয়াখানার সামনে, এরপর তাকে গাবতলী বাস টার্মিনালে এনে বাসযোগে বরগুনা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
এ সংক্রান্তে থানায় একটি মামলা করা হয়েছে এবং ভুক্তভোগী কিশোরীকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।