আগামী ৫০ বছর বা তারও বেশি সময় ধরে 'অর্থনৈতিক বিনিয়োগ বাড়াতে' বাংলাদেশের সঙ্গে তারা কাজ করবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
সরকারি ও বেসরকারি কোম্পানিগুলো কীভাবে সহযোগিতা করছে তা জানতে সফররত মার্কিন প্রতিনিধি দলটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
প্রেসিডেন্টের বিশেষ সহকারী ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের (এনএসসি) দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালক আইলিন লাউবাচার; এশিয়া অঞ্চল বিষয়ক ইউএসএআইডির সহকারী প্রশাসক মাইকেল শিফার এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আক্তার তিন দিনের সফরে বাংলাদেশ এসেছেন।
৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জনস্বাস্থ্য, শিক্ষা, জ্বালানি, পরিবেশ, খাদ্য নিরাপত্তা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং আরও অনেক কিছু মোকাবিলায় ৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি সহায়তা দিয়ে বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করেছে।
ঢাকার মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে অন্যতম বৃহৎ বিনিয়োগকারী এবং একক বৃহত্তম রপ্তানি বাজার।
মার্কিন দূতাবাস বলেছে, ‘ওয়াশিংটন ডিসি থেকে আমাদের নেতারা স্থানীয় অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্ককে প্রভাবিত করে এমন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন।’
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও বিনিয়োগ আকৃষ্ট করে এমন একটি ব্যবসার পরিবেশ তৈরিতে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে যুক্তরাষ্ট্র 'প্রস্তুত' রয়েছে।
প্রতিনিধি দলটি ব্যবসার পরিবেশ উন্নত করার মাধ্যমে আমেরিকান কোম্পানিগুলোর কাছে বাংলাদেশে বিনিয়োগকে আরও আকর্ষণীয় করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের গল্প অনেক দেশের জন্য অনুপ্রেরণা: বিশ্বব্যাংক এমডি
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে পারস্পরিক স্বার্থের অগ্রগতিতে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার, চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি এগিয়ে নেওয়ার উপায় নিয়ে আলোচনা করতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা করতে তিন কর্মকর্তা বাংলাদেশ সফর করছেন। ’
মার্কিন প্রতিনিধি দলটি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, শ্রমিক নেতা, যুব কর্মী এবং মুক্ত ও স্বাধীন গণমাধ্যম তৈরিতে নিয়োজিতদের সঙ্গেও বৈঠক করেন।
বৈঠক শেষে মার্কিন দূতাবাস এক পৃথক বার্তায় জানায়, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, নিরাপত্তা, শরণার্থী, জলবায়ু, শ্রম ও বাণিজ্যসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আমাদের দুই দেশ কীভাবে কাজ করতে পারে তা নিয়ে আমরা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সেসব বিষয়ে আলোচনা করেছি।
ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।
আরও পড়ুন: আগামী অক্টোবরের সম্মেলনের আগেই আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হতে চায় বাংলাদেশ