মৃত শিলা বৈদ্য (৪০) উপজেলার কুচলিয়া গ্রামের অরুণ বৈদ্যর স্ত্রী।
ঋণের বোঝা সইতে না পেরে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে স্বজনদের ধারণা।
মণিরামপুর থানায় এই ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
নিহতের ভগ্নিপতি পরিতোষ মণ্ডল জানান, অরুণ বৈদ্য ঢাকায় একটি কোচিং সেন্টার পরিচালনা করেন। দুই মেয়ে অনি (১৭) ও তনুকে (৮) নিয়ে যশোরে থাকতেন শিলা। কয়েকটা এনজিও থেকে বেশকিছু টাকা ঋণ নিয়েছিলেন তিনি।
তিনি বলেন, সর্বশেষ স্থানীয় একটি এনজিও থেকে দেড় লাখ টাকা ঋণ নেন তিনি। মঙ্গলবার তার কিস্তি শোধের দিন ছিল। সোমবার রাতে মেয়েদের সাথে তার ঝগড়া হয়। পরে দুই মেয়েকে আলাদা ঘরে দিয়ে অন্য ঘরে ঘুমাতে যান শিলা। সকালে মায়ের উঠতে দেরি দেখে মেয়েরা ডাকাডাকি করে। কোনো সাড়া না পেয়ে তারা চিৎকার শুরু করে। এরপর আশপাশের লোকজন এসে দরজা ভেঙে শিলার মৃতদেহ দেখতে পায়।
মণিরামপুর থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই দেবাশীষ বিশ্বাস বলেন, ৫-৬টি এনজিও থেকে শিলা ঋণ নিয়েছিল। রাতে ছোট মেয়ের সাথে তার ঝগড়া হয়। তবে কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন তা জানা যায়নি।