রাজধানীর মতিঝিল থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় ‘শিশুবক্তা’ হিসেবে পরিচিত মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানীসহ দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) গ্রহণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
আরেক আসামি হলেন মাহমুদুল হাসান ওরফে মুর্তজা।
বুধবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন তাদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। একইসঙ্গে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।
এদিন রফিকুল ইসলাম মাদানীকে কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। জামিনে থাকা মাহমুদুল ইসলাম মতুর্জা এ সময় ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
এদিকে মাদানীর পক্ষে তার আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। আর মাহমুদুলের স্থায়ী জামিন চান তার আইনজীবী। রাষ্ট্রপক্ষে জামিনের বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে আদালত মাদানীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে মাহমুদুলের স্থায়ী জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
ট্রাইব্যুনালের পেশকার শামীম আল মামুন বিষয়টি জানিয়েছেন।
গত ২৬ জানুয়ারি রাষ্ট্রবিরোধী ও উসকানিমূলক বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে গাজীপুরের গাছা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় আলোচিত ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন একই আদালত। একই সঙ্গে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
এর আগে গত ২১ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক রেজাউল করিম তাদের বিরুদ্ধে এ চার্জশিট দাখিল করেন।
গত ৮ এপ্রিল রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে মো. আদনান শান্তু নামে একজন বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মতিঝিল থানায় মামলা করেন।
এর আগের দিন ৭ এপ্রিল ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলামকে রাষ্ট্রবিরোধী উসকানিমূলক ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে নেত্রকোনার নিজ বাড়ি থেকে আটক করে র্যাব।
এসময় তার কাছ থেকে চারটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। পরে র্যাবের ডিএডি আব্দুল খালেক বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের গাছা থানায় মামলা করেন।
আরও পড়ুন: ‘উস্কানিমূলক বক্তব্য’ দেয়ার অভিযোগে নেত্রকোণায় ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল আটক
রাষ্ট্রবিরোধী, উসকানিমূলক ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে গত বছরের ৭ এপ্রিল রাত সাড়ে ৩টার দিকে রফিকুলকে নেত্রকোনার নিজ বাড়ি থেকে আটক করে র্যাব।
ওই সময় তার কাছ থেকে চারটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এরপর ৮ এপ্রিল রফিকুলের বিরুদ্ধে গাজীপুরের গাছা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়।
এরপর ১১ এপ্রিল গাজীপুরের বাসন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়। তার বিরুদ্ধে মারাত্মক মিথ্যা, ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে মানহানিকর তথ্য প্রকাশ এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি করার মতো অপরাধে সহায়তার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এদিকে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ময়ময়সিংহের কোতোয়ালি থানায় বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা মামলায় রফিকুল ইসলাম হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন। বিচারপতি মো. হাবিবুল গণি ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে জামিন দেন।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ পার্শ্ববর্তী ৫ জেলার অবৈধ ইটভাটার তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট