বিশ্বব্যাপী স্মার্টফোনে ফ্ল্যাশ চার্জিংয়ের পথিকৃত অপো সম্প্রতি পালন করেছে ‘ফ্ল্যাশ চার্জ ওপেন ডে’। ‘ফ্ল্যাশ চার্জের পর কি’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দিবসটি পালিত হয়। সেখানে ফ্ল্যাশ চার্জ প্রযুক্তির সর্বশেষ নানা অগ্রগতির কথা তুলে ধরে অপো।
অপো ভুক ফ্ল্যাশ চার্জের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জেফ ঝাং এই প্রযুক্তি সম্পর্কে বলেন, অপো চার্জিং অ্যাডাপটর, ক্যাবল, পিএমআইসি, ব্যাটারিসহ পুরো দ্রুত চার্জিং পদ্ধতিতে একটা পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। তারবিহীন বা তারযুক্ত মানুষ যে চার্জিং পছন্দ করুক না কেন ভুক ফ্ল্যাশ চার্জ প্রযুক্তি মানুষের সব ধরনের চাহিদা মেটাতে সক্ষম। আর সেটা যেকোন কঠিন পরিস্থিতিই হোক না কেন।
আরও পড়ুনঃ অপোর ‘ট্রাস্টি রাস্টি’ ক্যাম্পেইন শুরু
ভুক ফ্ল্যাশ চার্জ প্রযুক্তিতে পাঁচস্তর বিশিষ্ট সুরক্ষিত নিরাপত্তা পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে। ভবিষ্যতে কিভাবে ফ্ল্যাশ চার্জিংয়ে এআই অ্যালগরিদম, চার্জিং আর্কিটেকচার এবং অন্যান্য বিষয় সংযুক্ত করা যায় সেটা নিয়ে অপো কাজ করছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তূপক্ষ।
আরও পড়ুনঃ এআই ক্যাটাগরিতে ১২টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার জিতল অপো
একটি স্মার্ট চার্জিং প্রযুক্তির উপর ব্যাটারির পারফরমেন্স বিশেষ করে এর আয়ুষ্কাল (১৫০০ বার চার্জ সাইকেল ব্যবহার করার পরও ৮০ ভাগ সক্ষমতা অটুট থাকে) এবং এটি চার্জিং গতি ও ফোনের তাপমাত্রার মধ্যে সামঞ্জস্য রক্ষা করে। তবে চার্জিং গতি অনেকটাই বাড়ানো যায় বিশেষ পরিবেশ-পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে। ৬৫ ওয়াটের সুপার ভুক চার্জিংয়ের ক্ষেত্রে ২০ ভাগ পর্যন্ত চার্জিং গতি বাড়ানো সম্ভব এবং মাত্র ৩০ মিনিটে ৪৫০০ এমএইচ ব্যাটারি পরিপূর্ণ চার্জ হয়। প্রচন্ড শীতের মতো বৈরি পরিবেশে অপোর ফ্ল্যাশ চার্জ প্রযুক্তি স্মার্ট অলগরিদম ব্যবহার করে চার্জিংয়ের আগে তাপমাত্রা বাড়িয়ে নিতে সক্ষম।
আরও পড়ুনঃ অপো রেনো৫ ও এ১৫ এর দাম কমলো
পরীক্ষার ফলাফলে দেখা গেছে যে, এ প্রযুক্তি মাত্র কয়েক সেকেন্ডে মাইনাস ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে তাপমাত্রা বাড়িয়ে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নিয়ে আসতে পারে। তারপর স্বাভাবিকের মতো চার্জ হতে পারে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে ভুক ফ্ল্যাশ চার্জ যাত্রা শুরুর পর থেকেই নিরাপত্তা, দক্ষতা ও ব্যবহার উপযোগীতা এই তিনটি বিষয় সর্বাধিক গুরুত্ব পেয়েছে ব্যাটারি ও চার্জিং প্রযুক্তি নিয়ে অপোর গবেষণা ও উন্নয়নে।